
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন মিতালী মার্কেটের কর্তৃত্ব দখলে নিতে হামলা করেছে পূর্বে মার্কেটটির কমিটিতে থাকা মো. জয়নাল আবেদীন ফারুক, মো. জামান মিয়া এবং নাজিমউদ্দিন নাজু বাহিনীর সমর্থকরা।
এ সময় মার্কেটের অফিসের তালা ভেঙে নগদ অর্থ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ দায়িত্বে থাকা বর্তমান কমিটির। এ ঘটনায় উল্লিখিত তিনজনসহ অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনের নামে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে বর্তমান কমিটির সহদফতর সম্পাদক মো. খোকন আহমেদ।
মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পুলিশের উপস্থিতিতেই লাঠিসোটা এবং পাইপ হাতে মার্কেটে হামলা চালানো হয়। এর আগে মার্কেট কমিটির তালাবদ্ধ অফিস ভাঙচুর করে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা হামলাকারীরা নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশের সামনেই হামলাকারীরা হাতে লাঠি নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। পরে হামলাকারীরা মার্কেটের ভেতরে বন্ধ থাকা অফিস ও দোকানের সাটার ভাঙচুর করতে থাকে। এ সময় পুলিশের ধাওয়ায় হামলাকারীরা সরে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মঙ্গলবার দুপুরে মার্কেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে মার্কেটের দোকানদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফেরদৌস আহমেদ বলেন, সম্প্রতি আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। কমিটির দায়িত্ব দখলে নিতেই মার্কেটে হঠাৎ হামলা করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
তবে শ্রম বিধি অনুযায়ী নতুন কমিটি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সদ্য মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটির দায়িত্ব বহাল থাকবে বলে জানান তিনি।
মার্কেটে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মো. জয়নাল আবেদীন ফারুক জানান, আমি মার্কেটে হামলা করার জন্য কাউকে পাঠাইনি এবং সেখানে আমার কোন লোকও যায়নি।
উল্টো সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়ার লোকজন আমার ভাগিনা এবং আবদুল কালাম আজাদ নামে একজনকে আমার বাসার সামনে এসে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমার ভাগিনা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার জানান, মার্কেটের কর্তৃত্ব নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে অভিযোগ নেয়া হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫০:৪৪ ৯১ বার পঠিত