আসছে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ আড়াইহাজার থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে ছয়নেতা তোরজোড় লবিং করছেন। এদের মধ্যে এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক ব্রুনাইয়ের রাষ্ট্রদূত মমতাজ হোসেন ও যুব লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল পারভেজ, বিএনপি থেকে বদরুজ্জামান খসরু, সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর ও নজরুল ইসলাম আজাদ। দীর্ঘদিন ধরে তারা কেন্দ্রে দৌঁড়ঝাঁপ করছেন।
তবে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আগামী নির্বাচনে একজন প্রকৃত আওয়ামী লীগের খোঁজ করছেন। তারা শিঁকড়ের সন্ধান করছেন। অনেকেই বলেছেন, আড়াইহাজার আওয়ামী লীগ থেকে এ পর্যন্ত যারাই এমপি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সবাই দলছুট ছিলেন। যেমন এমদাদুল হক ভূঁইয়া ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন। তিনি এক সময়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
তবে তিনি আওয়ামীলীগ থেকে এমপি হওয়ার পর দলের নেতাকর্মীদের যথেষ্ট মূল্যায়ন করেছেন। শিক্ষা ব্যবস্থায় তিনি আমুল পরিবর্তন এনে ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে বেশ ভালোবাসতেন। বিশেষ করে আড়াইহাজার থানা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই তার হাতে তৈরি। এদের মধ্যে বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রথম এমপি হয়েছেন নজরুল ইসলাম বাবু। জানা গেছে, ওনি এক সময় ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন। লোটন-জোটনের সময়ে তিনি জাতীয় যুবসংহতির নেতা ছিলেন। যার ফলোশ্রুতিতে আড়াইহাজারের আওয়ামী লীগের লোকজন ও নেতাকর্মীরা এমপি বাবুর কাছ থেকে নূনতম সম্মান টুকুও পায়নি।
থানা আওয়ামীলীগের এক নেতা বলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মমতাজ হোসেন আওয়ামী লীগের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ ব্যাক্তি। তিনি যে সময় আড়াইহাজার থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। সে সময় আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তেমন একটা ছিল না।
তাকে সাহায্য করার মত কেউ ছিল না। তার পরও তিনি দলীয় প্রতীক নিয়ে পুরো উপজেলায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে ছিলেন। বতর্মানে আওয়ামী লীগের সুসময়ে অনেকে এখন নেতা বনে গেছেন। তখনকার সময়ে এতো নেতার ভীড় ছিল না।
১৫ আগস্ট শোক দিবস পালনের মত কেউ ছিল না। এমদাদুল হক ভূঁইয়ার আগে আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে মমতাজ হোসেন দলের হাল ধরে ছিলেন। সে সময়ে নজরুল ইসলাম বাবুকে আড়াইহাজারে কেউ ভালো করে চিনতোই না। বলতে গেলে মমতাজ হোসেন আড়াইহাজার আওয়ামী লীগের ‘শিঁড়ক’।
থানা যুব লীগের একনেতা বলেন, আগামী নির্বাচনে আড়াইহাজারের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একজন প্রকৃত আওয়ামী লীগারের খোঁজ করছেন। অথাৎ শিঁকড়ের সন্ধ্যান করছেন। কারণ অতীতে অনেকেই এমপি হয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত আওয়ামী লীগার মধ্যে কেউ হয়নি। এখানে দলছুট কোনো নেতা এমপি হলে বা মনোনয়ন পেলে আগামী নির্বাচনে ভালো ফল বইয়ে আনতে পারবে না।
থানা আওয়ামী লীগের মধ্যেও অনেক দলছোট নেতা রয়েছেন। সুবিধা পেলে আওয়ামী লীগ না পেলে বিএনপি। এমন অনেক নেতাই আওয়ামী লীগের মধ্যে ওঁৎ পেতে রয়েছেন। তাদেরকে চিহৃত করতে হবে। মমতাজ হোসেনের সাথে যারা অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন, তাদেরকে খোঁজে বের করে সম্মান দিয়ে থানা আওয়ামী লীগের কমিটিতে ঠাঁই করে দিতে হবে। মমতাজ হোসেনের মত একজন প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতাকে আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের ক্রান্তিকালে দলীয় মনোনয়ন দিতে হবে।
থানা শ্রমিক লীগের এক নেতা বলেন, কেন্দ্রীয় যুব লীগের তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল পারভেজ উদীয়মান নেতা হিসেবে বেশ এগিয়ে রয়েছেন। এলাকায় ও কেন্দ্রে তিনি সমানতালে সময় দিয়ে যাচ্ছেন।
আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের বিচ্যুত রাজনীতির এ সময়ে তাকে ঘিরে আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি আশার আলো দেখা দিয়েছে। তিনিই একমাত্র নেতা যিনি এমপি বাবুর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি হয়ে উঠেছেন। এতে করে তার কাছে নেতাকমীরা ধীরে ধীরে ভিড় করতে শুরু করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫১:২৫ ৬২৮ বার পঠিত