
নিউজটুনারায়নগঞ্জ : ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার বলেছেন, ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে, কোন চাপের কাছে মাথা নত না করে, সংকটময় সময়ে দেশের দুঃখী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সকল বাঁধা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন-যা তাঁর নেতৃত্বের অনন্য গুণ। ছয় বছর নির্বাসিত থেকে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে সোনার বাংলা বিনির্মাণে ৩৯ বছরের পথচলায় তিনি শুধু প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে দলকে সংগঠিতই করেননি, বহু কন্টকাকীর্ণ পথ ও মৃত্যুর ঝুঁকি পাড়ি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অদম্য সাহস ও ধৈর্য্যে অবিচল থেকে সংকট উত্তরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য বৈশিষ্ট্য বলে উল্লেখ করেন স্পীকার।
স্পীকার আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা কর্তৃক আয়োজিত তাঁর জীবন ও দর্শনের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
৭৪তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্পীকার বলেন, সংকটময় সময়ে ধৈর্য্য ধারণ করে সকল বাঁধার উত্তরণ ঘটিয়ে সফলতার ঠিকানায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কন্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে অদম্য সাহসিকতার সাথে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন শেখ হাসিনা অকৃত্রিম ভালবাসা দিয়ে জয় করেছেন বাংলার মানুষের হৃদয়কে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও তিনি বিবেচিত হয়েছেন কর্মঠ, বিচক্ষণ ও মানবতার নেত্রী হিসেবে। বন্ধুর ও প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মসৃণ করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ঘুরে বেড়িয়েছেন বাংলার এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত-এটাই তাঁর রাজনীতির মূলমন্ত্র। পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে শোষণ ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে নিরলস কাজ করে চলেছেন তিনি।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল লক্ষ্য।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী স্পীকার বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন দেয়ার যে স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লালন করতেন, তা বাস্তবায়নে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে দারিদ্র্য-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্ত করে মানুষকে একটি উন্নত জীবনের দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর কর্মপরিকল্পনা ও উন্নয়ন কাঠামো তথা সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে আজ কৃষিতে বাম্পার ফলন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, ১০০টি অর্থনৈতিক জোন, যুব উন্নয়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন, সমুদ্র বিজয়, নারীর ক্ষমতায়ন ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন সম্ভব হয়েছে। অর্থনৈতিক সফলতা ও উন্নয়নের এই ব্যাপক অর্জনের মাধ্যমে মুজিব বর্ষে দেশ অবস্থান করছে এক অনন্য উচ্চতায়। এ অগ্রযাত্রায় তাঁর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান স্পীকার।
স্পীকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পাদনের মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জীবনের অধিকাংশ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আজ তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি একজন অন্যতম ক্ষমতাধর বিশ্বনেতা যা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। অন্যদিকে, তিনি মানবতার মা ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনার ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও লেখক ড. সেলিনা হোসেন এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনার ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনার রেজিস্ট্রার কাজী নাসির উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:২০:২৯ ১২০ বার পঠিত