
ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০: জাতির পিতা বলতেন, “সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা এই বাংলাদেশকে তিনি একদিন সোনার বাংলায় পরিণত করবেন”। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত দেশব্যাপী এক কোটি বৃক্ষরোপণের ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে আজ (বুধবার) বৃক্ষের চারা রোপণ করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ, এমপি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান এমপি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু, এমপি, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুস শহীদ, এমপি এবং সেলিম আলতাফ জর্জ, এমপি।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, একশো বছরে সুযোগ একবারই আসে, বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখার এমন মোক্ষম সুযোগ আমরাও শত বছর পর পেয়েছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন সভা করেও পার করতে পারতাম, এতে জাতির পিতার স্মৃতি রক্ষিত হতো না। এক কোটি বৃক্ষরোপণের যে কর্মসূচি তার সুফল আজীবন টিকে থাকবে। বঙ্গবন্ধুকে চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য একটি ঔষধি গাছ (অর্জুন) লাগিয়ে স্থায়ী কাজ করে গেলাম যা চিরজীবন টিকে থাকবে আশা করি। সংসদ সদস্য কর্তৃক রোপিত এই গাছগুলো যখন আমরা দেখবো তখনই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিকে মনে পড়বে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন, বৃক্ষরোপণের প্রধান ভিত্তি সেদিন স্থাপিত হয়েছিলো । জাতির পিতার সবুজ বিপ্লবের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর কন্যা, মানবতার মা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকেই বেছে নিয়েছেন। বৃক্ষরোপণ-কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে দেশে সবুজ বিপ্লব আসবে অন্যদিকে আমরাও বঙ্গবন্ধুকে আজীবন স্মরণের একটি মাধ্যম পেলাম।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করছি। প্রধানমন্ত্রী বৃক্ষরোপণের একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা প্রায় ১৭ কোটি মানুষ, আমরা যদি পত্যেকে একটি করে গাছ লাগাই তাহলে প্রায় ১৭ কোটি গাছ লাগানো হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু বলেন, বৃক্ষতে আমাদের নানারকম উপকার হয়। আমরা যখন হাসপাতালে ভর্তি হই তখন আমাদের অক্সিজেন চড়ামূল্যে কিনে আমাদের জীবন বাঁচাই , আর বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে কৃত্তিম অক্সিজেন থেকে হাজার গুণ ভালো অক্সিজেন আমরা পাই গাছ থেকে।
অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুস শহীদ বলেন, সংসদের এই সবুজ চত্বরের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখতে বঙ্গবন্ধু এখানে বৃক্ষরোপণ করে গেছেন। বৃক্ষরোপণের প্রতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি অনেক বেশি গুরুত্ব দিতেন বলেই তাঁর জন্মশতবর্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক-২০২০ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৫:৩৭ ৯২ বার পঠিত