
বন্দরে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত সাংবাদিক ইলিয়াছের জানাযা সম্পর্ন হয়েছে। ১২ অক্টোবর সোমবার বাদ আসর বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিউধরা ঈদগাহ ময়দানে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন সম্পর্ন হয়।
সাংবাদিক মরহুম ইলিয়াছের জানাযায় বন্দরে বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল পরে।
সাংবাদিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে জিউধরা ও আদমপুর এরাকায় বিক্ষোদ্ধ জনতা রাস্তার উপর টায়ার পুড়িয়ে, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ।
সাংবাদিক হত্যাকান্ডের ঘটনাটি নেক্কার জনক ঘটনা উল্লেখ্য করে বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসেন কমল খান এক প্রতিক্রিয়া বলেন, হত্যা গুম ও হুমকি দামকি দিয়ে গনমাধ্যমের কন্ঠস্বর রোধ করা যাবে না।
আমরা বন্দর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিক ইলিয়াছ হত্যাকান্ডের ঘটনায় র্তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সে সাথে হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বন্দর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে নিহত সাংবাদিক ইলিয়াছের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর রোববার রাত সাড়ে ৮টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বন্দর থানাধীন জিউধরা এলাকার মজিবুর মিয়ার ছেলে সাংবাদিক ইলিয়াছকে পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেদম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে আদমপুর এলাকার মৃত জামান মিয়ার দুই ছেলে সন্ত্রাসী তুষার ও হাসনাত আহাম্মেদ তুর্জয় এবং জিউধরা এলাকার মৃত নুরুল মিয়ার ছেলে মাসুদ, একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদ মিয়ার ৩ ছেলে হযরত আলী, মিছির আলী ও মিনা আদমপুর এলাকার আব্দুল বাতেন মিযার ছেলে সাগর ও মৃত ফালান মিঢার ছেলে পাভেল।
পরে সাংবাদিক ইলিয়াছের ডাক চিৎকারের শব্দ হয়ে তার ২য় স্ত্রী জুলেখা বেগমসহ স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে মুমুর্ষ অবস্থায় ইলিয়াছকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৯:৩৭ ১৬৭ বার পঠিত