
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমানের সাথে আজ ঢাকায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত Mustafa Osman Turan এর নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্য হলেন Turkish Cooperation and Coordination Agency’র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর Ismail Gundogdu.
সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং যেকোনো দুর্যোগে তুরস্ককে পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণে তুরস্কের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কক্সবাজারে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তুরস্কের হাসপাতালটির কথা স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর আমি নিজে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবায় হাসপাতালটি সুনামের সাথে কাজ করছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে সরকারের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন বা ফেরত পাঠানো।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এদেশের প্রতিটি গৃহহীন পরিবার যাতে দুর্যোগ সহনীয় ঘর পায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ খরচ হবে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। বর্তমান অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সারা দেশে ১৭ হাজার পাঁচটি ঘর তৈরি করে দেবে।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করেন। এ দেশের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। বিশেষ করে গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরির ক্ষেত্রে তারা সরকারকে সহযোগিতা করতে চায় বলে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে শীঘ্রই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে প্রতিনিধিদল আশাবাদ ব্যক্ত করে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৫:০৭ ১১৩ বার পঠিত