মাদারীপুরে কোনোভাবেই থামছে না খাল দখলের তৎপরতা। খালের দুই পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠছে একের পর এক স্থাপনা।
সেসব স্থাপনার ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে বিক্রিও করা হচ্ছে। এতে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যদিও এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কমলাপুর-শশিকর খাল। কমলাপুর বাজারের উত্তর-পশ্চিম পাশে এই খাল দখল করে গড়ে উঠেছে বেশকিছু স্থাপনা। খালের পাশে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনা একটি অসাধু চক্র বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। না বুঝে এই ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
একই অবস্থা রাজৈর-কোটালীপাড়া খালেরও। রাজৈর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে কোটালীপাড়া পর্যন্ত খালের দুইপাড়ে গড়ে উঠেছে শত শত দোকান। বছর বছর নতুন নতুন স্থাপনা নির্মাণের ফলে একদিকে কমে গেছে খালের পানি প্রবাহ, অন্যদিকে বন্ধ হয়ে গেছে নৌযান চলাচল।
তবে, খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও বিক্রি করার কথা স্বীকার করলেন জড়িতরা।
এদিকে, দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানায় জেলা প্রশাসন।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জায়গা বেদখল আছে। তারপর খালের জায়গা কিছু বেদখল আছে সেগুলো নিয়ে আমরা একটা পরিকল্পনা করছি এবং উচ্ছেদের ব্যবস্থা নিচ্ছি।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে জেলায় ১২টি খাল খনন করা হয়। যার অধিকাংশই চলে গেছে দখলদারদের হাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:২৪:৫১ ১১২ বার পঠিত