ফেসবুক বা অন্য কোন মাধ্যমে ছড়ানো গুজব বিশ্বাস করে নিজের সম্মান, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে ঝুঁকিতে না ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদেরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উপাচার্য এই আহ্বান জানান।
রবিবার রাতে ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক ছাত্রের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারী গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকারও ওই তথ্যটি তার ফেসবুক আইডিতে প্রচার করেন। যদিও পরে তা মুছে দেন তিনি।
এর পরপরই একদল মুখোশধারী উপাচার্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাণ্ডব চালায়।
এই ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে চারটি। এই মামলায় নিরীহ কোন শিক্ষার্থী যেন হেনস্থার শিকার না হয়, সেই অনুরোধও জানিয়েছেন উপাচার্য। সেই সঙ্গে প্রকৃত অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনারও দাবি জানান তিনি।
উপাচার্যের বিশ্বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র এই হামলায় জড়িত নয়। এটি বহিরাগতদের কাজ। বলেন, ‘বিষয়টি এখন তদন্তাধীন, তোই কে দোষী সেটা বলার সুযোগ নেই আমার।’
‘সুস্পষ্ট প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত এ হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো শিক্ষার্থী জড়িত থাকতে পারে, সেটা আমাদের চিন্তায় আসে না। তদন্তে এ ধরনের কিছু এলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দুর্ভাগ্যের ও জাতির জন্য লজ্জাকর হবে।’
‘সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ রাখব শুধুই আন্দোলন করেছে বা নিরীহ কোন শিক্ষার্থী যেন কোনোরূপ হেনস্থা না হয়।’
‘তবে যারা প্রকৃত অপরাধী তাদেরকে অবশ্যইশাস্তির আওতায় আনার দাবি করছি।’
আন্দোলনের সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না জানতে চাইলে আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আন্দোলনের সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। সেদিন রাতে যারা হামলা করেছিল, মামলা শুধু তাদের জন্য।’
‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আর মামলাটি সরকার দেখবে।’
বাংলাদেশ সময়: ২১:২২:৪৬ ২৪৬ বার পঠিত