স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি ও সংযোজনে ভারতের সহযোগিতার আশ্বাস

প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য » স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি ও সংযোজনে ভারতের সহযোগিতার আশ্বাস
বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০



---

ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে. দোরাইস্বামী জানিয়েছেন, ভারতের মাহিন্দ্রসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরিতে বিনিয়োগ করে সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার আজ কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
তারা সাক্ষাৎকালে দুদেশের কৃষি, কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষিপ্রসেসিং, বীজ প্রযুক্তি এবং ডেইরি প্রসেসিং নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় কৃষিসচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকীকরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সরকার প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রচুর কৃষি যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ভারতের কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ফ্যক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারে।
তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরন ও বাজারজাতকরনে বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে। আর ভারত এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে আছে। সেজন্য, এসব ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দুদেশের একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এসময় কৃষিমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রযুক্তি, বিটি কটন, ভুট্টা, কাজুবাদামসহ উন্নতজাতের জাত ও চারা সরবরাহ, দুগ্ধ প্রসেসিং, এগ্রো প্রসেসিং ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। ভারতের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে বিক্রম কে. দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করে নি, বরং অনেকক্ষেত্রে এখন খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে পারে।
তিনি বলেন, মাহিন্দ্রসহ অন্যান্য কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কথা বলে বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতি স্থানীয়ভাবে তৈরি, অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া, বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রযুক্তি, বিটি কটন, ভুট্টা, কাজুবাদামসহ উন্নতজাতের জাত ও চারা সরবারহ, দুগ্ধ প্রসেসিং, এগ্রো প্রসেসিং সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়ে দোরাইস্বামী বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি ও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। আবহাওয়ার উন্নতি হলে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২০:২০:১৭   ১০৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

কৃষি ও বাণিজ্য’র আরও খবর


বঙ্গবন্ধুর জীবন এক বৃহৎ মহাকাব্য - কৃষিমন্ত্রী
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাস্তবায়নের তাগিদ কৃষিমন্ত্রীর
নীলফামারীর ডোমারে বিএডিসি’র খামার পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী
তেলের পর বাজারে বেড়েছে চিনি ও আটার দাম
দেশ যত উন্নতই হোক কৃষির উন্নতি না হলে মানুষের আয় বাড়বে না - কৃষিমন্ত্রী
প্রকাশনা শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মনোযোগী হওয়ার তাগিদ
বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
দেশে সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে - কৃষিমন্ত্রী
উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে আরো উন্নত জাতের ধান উদ্ভাবন করতে হবে - কৃষিমন্ত্রী
কৃষিপণ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে - বাণিজ্যমন্ত্রী

আর্কাইভ