বাজারে আসছে শীতের সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে

প্রথম পাতা » অন্যান্য সংবাদ » বাজারে আসছে শীতের সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে
মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০



---

শীতের আগাম সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, শসাসহ রকমারি শীতকালীন সবজিতে ভরে আছে মাঠ। শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাইকাররা ক্ষেত থেকেই এসব সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বাজারে এসব সবজির দাম অনেক বেশি। হরতাল, বৃষ্টি, বন্যা, যানজট কোনো একটা ছুতা পেলেই হয়, এক শ্রেণির ব্যবসায়ী প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেবে। যেমন—বন্যা, বৃষ্টি, পরিবহন সংকট, উৎপাদন ঘাটতিসহ নানা অজুহাতে রাজধানীসহ দেশের খুচরা বাজারগুলোতে এখন সবজির দাম আকাশছোঁয়া।

শিম, আলু, টমেটো, পটোল, লাউ, কাঁচা মরিচসহ প্রায় সব ধরনের শাকসবজি বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড দামে। অথচ বিভিন্ন অঞ্চলের তথ্য বলছে, দাম যতটা বেড়েছে, ভোক্তা ও কৃষক পর্যায়ে ততটা বাড়েনি। আর দাম বাড়ার পরও কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে দামের ব্যবধান দুই থেকে তিন গুণ। অবশ্য এটাও ঠিক, এবার চার দফা বন্যায় কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শীতের আগাম সবজি উৎপাদনও।

প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, ব্যাপারী, আড়তদার, পাইকার, খুচরা ব্যবসায়ীসহ চার থেকে পাঁচ স্তরের মধ্যস্বত্বভোগীর কারণে ভোক্তা পর্যায়ে উচ্চ দামে সবজি কিনতে হয়। কিন্তু উৎপাদক পর্যায়ে কৃষককে অনেক ক্ষেত্রে ঠকতে হচ্ছে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভ্যালু চেইন ও বাজার পর্যায়ে সঠিক মনিটরিং না থাকা, ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি, উৎপাদন ও সরবরাহে সমন্বয় না থাকায় বাজারে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে লম্বা জাতের বেগুন ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি হলেও শহরের বাজারে তা ৫০ টাকা এবং ঢাকায় ৭০ টাকা কেজি। পাইকারি বাজারে কৃষক শসা বিক্রি করছে ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে। এরপর তা কুষ্টিয়া শহরে এসে হচ্ছে ৫০ টাকা। আর রাজধানী ঢাকায় এসে হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হলে অনেক সময় উৎপাদিত কৃষিপণ্যের দাম বাড়ে। কিন্তু এটাই পণ্যমূল্য বৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, পণ্য পরিবহনের খরচও বেড়েছে। সড়কপথে ঢাকায় নিয়ে যেতে কাঁচামাল পরিবহন খরচও বেশি এবং সেই সঙ্গে মহাসড়কের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। বিভিন্ন পৌরসভা ও সংগঠনকেও চাঁদা দিতে হয়। ঝামেলা এড়াতে চালকরা চাহিদামতো টাকা দিয়ে দেন। এই টাকা ভাড়া হিসেবে ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই নিয়ে নেন চালকরা। আর এর মাসুল উৎপাদক কৃষক ও ক্রেতা পর্যায়ে এসে গুনতে হয়।

শীতের আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে। এখন এই সবজি সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এই কাজটি করা সম্ভব হলে কৃষকও লাভবান হবে, বাজারও ক্রেতার আয়ত্তের বাইরে যেত না।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৭:২৬   ৭৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অন্যান্য সংবাদ’র আরও খবর


নিউজ টু নারায়ণগঞ্জ কে নিবন্ধন সনদ তুলে দিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা
সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে: প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন
সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিক ইব্রাহীম খলিল
মাংস আমদানি বন্ধের দাবি: স্থানীয় উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে হবে
বাজারে আসছে শীতের সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে
অক্সিজেনের অস্বাভাবিক দাম
করোনাকালের উপকথা
আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ১২১তম জন্মজয়ন্তী
এগুলো এখনই উচ্ছেদ করা হোক: ভেজাল গুড়ের কারখানা
বছরব্যাপী মুজিববর্ষ ঘোষণা করলো ওয়াশিংটন ডি.সি.

আর্কাইভ