
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দিন বলেছেন, জাতীর চারটি স্তম্ভকে হত্যা করেছিল। যারা পূর্ববর্তীতে এবং এখনো কালপ্রিটের ভূমিকাতে আছে। এখনো কোন অনুষ্ঠান করতে গেলে আমাদের ভয়ে থাকতে হয় এই নাকি হামলা হয়। সেই জায়গাগুলো আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। শুধু অস্ত্র নয় নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা দেওয়ার মাঝে সেই জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। একজন তাজউদ্দিন আহমেদ তৈরী না হলে বঙ্গবন্ধু কেবল শেখ মুজিব থাকতো, বঙ্গন্ধু হতো না। একজন ফজিলাতুন্নেছা না থাকলে জাতীর পিতা হতো না, এত বড় দেশ স্বাধীন করতে পারতাম না। এই দেশের স্বাধীনতার জন্য তাজউদ্দিন আহমেদ এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের যে অবদান তা অনস্বিকার্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় গোটা গেরিলা আন্দোলন করেছে ক্যাপ্টেন মনসুর আলী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের সবাইকে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
বুধবার (০৪ নভেম্বর) বিকেলে কালীবাজার সরকারি গ্রন্থাগারে আলোর পথযাত্রী কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাইকে উদ্দেশ্য করে ডিসি আরও বলেন, আজকে যে ছেলেটি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছে তা তো আপনি ৬২ সালে, ৬৪ সালে ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে দিয়েছেন। নতুন ছেলে তৈরি করতে হবে। আর একজন আব্দুল হাই তৈরি না করলে , একজন শামসুজ্জোহা তৈরি না করলে সামনে কারা নারায়ণগঞ্জকে নেতৃত্ব দিবে।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের সভাপতি যদি এসে বলে অনেকে অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়েনি, অব্যশই তা পড়া দরকার। কেন আওয়ামীলীগের কর্মীকে নবায়ন করে সদস্য ফি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী দিচ্ছে না, কেন সাজনু বা শাহ নিজামের মত নেতৃবৃন্দরা তা করতেছে না? আপনি আর নিজাম আছেন বা তারুণ্যের প্রতীক যারা আছেন তারা এ উদ্যোগ নেন আমি কিন্তু দিচ্ছি । তাদের সেই প্রজন্মকে ধরে রাখার দায়িত্ব সাজনু পেয়েছিলেন। ৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে তখন তিনি অনুরোধ করলে তিনি এসে মুক্তিযোদ্ধা কোটা দিয়ে অন্যান্য দিয়ে অনেক কিছু সাজালেন। কিন্তু এই প্রেতাত্মারা বসে নেই তারা আওয়ামী লীগের ভিতরে থেকে প্রতিবাদ করলে এই কোটা সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে না। তাদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে মাদকদ্রব্য। সেই জায়গায় আমাদের একত্রিত হতে হবে। আমাদের জাতীয় চার নেতা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমরা অনুভব করতে পারি এবং আগামী প্রজন্মের সামনে তুরে ধরতে পারি তাহলে আজকের এই অনুষ্ঠান সফল হবে। প্রধানমন্ত্রির দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন প্রজন্মের সামনে আমরা দৃঢ়তা দেখাতে পারি তাহলেই আমদের দেশকে সামনে নিয়ে যেতে সফল হব এবং চার নেতা সহ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা শান্তি পাবে। আবার যদি রাজাকার, আলবদর সুযোগ পাই তাহলে জাতীর পতাকা খামচে ধরবে। সেই দিন যেন না আসে তার জন্য নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে।
আলোর পথের যাত্রীর সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেলের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় নেতা কাজিমউদ্দিন প্রধান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, ব্যাংক কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আবদুল কাদির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪০:৫৭ ১৫৪ বার পঠিত