
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আপন খালুর বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত সোহাগ মিয়া(৩৪) এখন কারাগারে।
মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ সোহাগ মিয়াকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত সোহাগ মিয়া উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, সোহাগ মিয়ার বাড়ি উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামে। ভুক্তভোগী মেয়েটির বাড়ি উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নে। দুই বছর আগে সোহাগ মিয়া তার নিজের সন্তানদের দেখাশোনা করার জন্য তার স্ত্রীর বড় বোনের মেয়েকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। চলতি বছরের ১৫ অক্টোবরের পর থেকে সোহাগ মিয়া নিজ বাড়িতে মেয়েটিকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা সোমবার রাতে গৌরীপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী বলেন, আমার মেয়ে তার খালুর কাছে থাকলেও প্রায়ই বাড়িতে বেড়াতে আসতো। আমার বাড়িতে বেড়ানো শেষে গত ১৫ অক্টোবর মেয়েটি খালুর বাড়িতে চলে যায়। এরপর থেকে মেয়েটি বাড়িতে না আসায় সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েকে বাড়িতে পাঠাতে বলি। বলার পরেও মেয়েকে না পাঠিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে। পরে আমি ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
গৌরীপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৩:৩০ ১০৯ বার পঠিত