
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, শুধু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করে নয়, সমস্যার কথাও বিবেচনায় রেখে নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশে (পিআইবি) নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশের (ইউডিজেএফবি) সাংবাদিকদের জন্য নগর পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শহরমুখী মানুষকে জোর করে আটকানো যাবে না, প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। এজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’র বিশেষ অঙ্গীকার করেছে। আর এই আধুনিক নগরীর সুযোগ-সুবিধা দিতে গিয়ে যেন আধুনিক সমস্যা তৈরি না হয়, সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে তিনি নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানান।
ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই করার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে সম্প্রসারণ করতে হবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও ডিটেইল্ড অ্যারিয়া প্ল্যান-ড্যাপের আহ্বায়ক জানান, হাতিরঝিল থেকে গুলশান-বনানী-মহাখালী এবং বালু নদী পর্যন্ত ওয়াটার কানেক্টিভিটি তৈরির জন্য সরকার পরিকল্পনা করছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের সবগুলো খাল হাতিরঝিলের আদলে তৈরি করে এগুলোতে ওয়াকওয়ে ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট করা হবে এবং এ লক্ষ্যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। রাজধানীতে যানজট দূর করতে হলে মেট্রোরেল, সাবওয়ে এবং রাস্তা করার পাশাপাশি ওয়াটার সার্ভিস চালু করতে হবে বলেও জানান মো. তাজুল ইসলাম।
রাজধানীতে সু-উচ্চ ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি বড় ভবনে যে পরিমাণ মানুষ বসবাস করবে তাদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, শপিংমল বিনোদনসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস নিশ্চিত না করলে, মানুষের চলাচল হ্রাস পাবে না, যার ফলে রাস্তায় ট্রাফিক বাড়বে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারের মিশন এবং ভিশনে একাত্মতা ঘোষণা করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ।
পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ৩০ জন অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থী সাংবাদিকদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৯:৫৬ ৯২ বার পঠিত