জাতীয় সংসদের দশম (মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ) অধিবেশন সমাপ্ত

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » জাতীয় সংসদের দশম (মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ) অধিবেশন সমাপ্ত
বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০



---

একাদশ জাতীয় সংসদের দশম (মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ) অধিবেশন আজ শেষ হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত ঘোষণা পাঠ করার মাধ্যমে এ অধিবেশন সমাপ্ত হয়।
গত ৮ নভেম্বর শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত মোট ১০ কার্যদিবস এ অধিবেশনে চলে। এ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে গত ৯ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৫ কার্যদিবস বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এ অধিবেশনে মোট ৯টি সরকারি বিল পাস করা হয়। আইন প্রণয়ন কার্যাবলী ছাড়াও বর্তমান অধিবেশনে কার্যপ্রণালী-বিধির ৭১ বিধিতে ৩৫ টি নোটিশ পাওয়া যায়। এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরদানের জন্য সর্বমোট ৩১ টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। তারমধ্যে তিনি ১৭ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। মন্ত্রীদের উত্তরদানের জন্য মোট ৬৪২টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩০১ টি প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়।
এ বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসে রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ মূল্যবান ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গত ৯ নভেম্বর উত্থাপিত কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় প্রস্তাব (সাধারণ) এর উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। স্পিকার এ প্রস্তাব উত্থাপন করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মোট ১৯ ঘন্টা ৩ মিনিটের আলোচনায় অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সরকার ও বিরোধীদলের ৭৯জন সংসদ সদস্য।
এসব আলোচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শন তুলে ধরা হয়েছে।
বিশেষ অধিবেশনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রদত্ত ভাষণ, ৪ নভেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদে প্রদত্ত ভাষণ, ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ এ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে প্রদত্ত ভাষণগুলো শুনানো হয়।
সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির ঘোষণা পাঠের আগে স্পিকার বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের এ বিশেষ অধিবেশন বাংলাদেশ ও দেশের সংসদীয় ইতিহাসে এক বিরাট মাইলফলক হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, এ অধিবেশনে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়াসহ সংসদীয় অন্যান্য কার্যক্রমে সংসদ সদস্যদের সহনশীল আচরণ ও গঠনমূলক আলোচনা তাঁকে মুগ্ধ করেছে।
এ সময় তিনি রাষ্ট্র পরিচালনায় সঠিক দিক নির্দেশনা, গতিশীল নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের জন্য গৌরব ও সম্মান বয়ে আনার জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন জানান।
সংসদ পরিচালনায় সহায়তা প্রদানের জন্য সংসদ উপনেতা, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, চিফ হুইপ ও হুইপবৃন্দ এবং সকল সংসদ-সদস্যগণের প্রতি স্পিকার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বিরোধী দলীয় নেতা, উপনেতা ও বিরোধীদলের সংসদ সদস্যগণকেও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি ডেপুটি স্পিকার ও সভাপতিমন্ডলীর সদস্যবৃন্দকে তাঁদের সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
এছাড়া তিনি সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, গণমাধ্যমের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
স্পিকার আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০০:০৪   ১০৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ