বিভিন্ন ব্যাংকে গোল্ডেন মনিরের লেনদেন ৯৩০ কোটি ২২ লাখ টাকা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বিভিন্ন ব্যাংকে গোল্ডেন মনিরের লেনদেন ৯৩০ কোটি ২২ লাখ টাকা
সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০



---

১৯৯০ এর দশকে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানে সেলসম্যানের কাজ করতেন গত শনিবার র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির। লাগেজ ব্যবসা, স্বর্ণ চোরাকারবার,জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি দখলের করে এখন তিনি দুই শতাধিক প্লট ও হাজার কোটি টাকার মালিক।

গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২৫ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ৯৩০ কোটি ২২ লাখ টাকার লেনদেন করেছেন গোল্ডেন মনির। এর মধ্যে ৪১২ কোটি ২ লাখ টাকা জমা রয়েছে এবং ৫১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা বিভিন্ন সময় উত্তোলন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে গোল্ডেন মনির।

যদিও গত অর্থ বছরে (২০১৯-২০) আয়কর রির্টানে তার সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন মাত্র ২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এছাড়াও গত অর্থ বছরে গোল্ডেন মনিরের বাৎসরিক আয় ১ কোটি ৪ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে।

সূত্রটি জানায়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়কালে গোল্ডেন মনির বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের এবং তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী, গণপূর্ত ও রাজউকের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। আর তাদের ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ে তোলেন। জাল-জালয়াতির মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ২০২টি প্লট ও জমি দখল করে নেয় গোল্ডেন মনির। এছাড়াও হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাইরেও বিপুল পরিমাণে অর্থ পাচার করেছে গোল্ডেন মনির।

র‌্যারের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মনির হোসেন একদিনে ‘গোল্ডেন মনির’ হয়ে ওঠেননি। সে মূলত একজন সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ ছিলেন। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা, রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। মনিরের এই উত্থানের পেছনে যারা জড়িত ও সহায়তা করেছেন তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, র‌্যাব শুধুমাত্র ফৌজদারি কার্যবিধি নিয়ে কাজ করে। গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলো র‌্যাবের কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত নয় বিধায় আমরা সরকারের চার সংস্থাকে তদন্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছি।

তিনি বলেন, গোল্ডেন মনির দেশের বাইরে কি পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন বা কি পরিমাণ সম্পদ তার রয়েছে, সে বিষয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অনুরোধ করবো। তিনি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে কসমেটিকস পণ্য ও চোরাচালানির মাধ্যমে কি পরিমাণ স্বর্ণ দেশে এনেছিলেন, সে বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুসন্ধান করতে অনুরোধ করবো।

এদিকে অনুমোদনহীন বিলাসবহুল গাড়ি (প্রত্যেকটি তিন কোটি টাকা মূল্যের) আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিকে (বিআরটিএ) অনুসন্ধানের জন্য আমরা বলবো। এছাড়া গোল্ডেন মনির জাল-জালিয়াতি করে ভূমি দখল করেছে সেসব বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) অনুসন্ধানের জন্য আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো।

উল্লেখ্য, শনিবার (২১ নভেম্বর) গোল্ডেন মনিরকে তার মেরুল বাড্ডার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, ৬০০ ভরি স্বর্ণ (আট কেজি), ১০টি দেশের মুদ্রা ও এক কোটি নয় লাখ টাকাসহ আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৮:৩৪   ৯১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ