সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে বখাটের ছুরিকাঘাতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক সিনিয়র স্টাফ নার্স গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং দায়িত্বরত নার্সরা নিজেদের সুরক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। তারা সাময়িক কর্মবিরতিও পালন করেন। আহত নার্সকে হাসাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বখাটের বিচার দাবি ও নিজেদের সুরক্ষার দাবিতে নার্সরা কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্তের দিকে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় হাসপাতাল এলাকা হাছন নগরের বাসিন্দা বখাটে মিজানুর রহমান আরেকজন বখাটেকে নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। হাসপাতালের ৬ তলায় গিয়ে পারভিন নামক এক আয়াকে খুঁজতে থাকেন তারা। এসময় হন্তদন্ত হয়ে বেপরোয়া ঘুরে বেড়ানো মিজানুর রহমান কাউকে খুঁজছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি প্যান্টের পকেট থেকে ধারালো ছুরি বের করে শ্রাবন্তী কোচের গলায় পোচ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ধস্তাধস্তি করলে তার বাম হাতের কয়েকটি আঙ্গুল কেটে যায়। এসময় হইচই শুরু হলে বখাটে মিজান ও তার সঙ্গী পালিয়ে যায়ন। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করে গেছে।
সদর থানার ওসি মো. সহিদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই আমরা হাসপাতালে যাই। আহত নার্সের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সাথে সাথেই আমরা ব্যবস্থা নেবো।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মো. শামসুদ্দিন বখাটের ছুরিকাঘাতে সিনিয়র স্টাফ নার্স আহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করে বলেছেন, এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন তারা।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নার্স বলেন, বরাবরই হাসপাতালে বখাটেরা এসে উৎপাত করে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে লাঞ্ছিত হতে হয়। হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েও লাভ হয় না। যার ফলে বখাটেরা বারবার এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫২:৫৬ ৬০ বার পঠিত