
কুষ্টিয়ায় পৌরসভার নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার আসামি মাদরাসার চারজন ছাত্র-শিক্ষকের আজ রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ। আলোচিত এই আসামিদের গ্রেপ্তারের পর গতকাল আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে গ্রেপ্তার ও সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রেস বিফ্রিং করেন খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি ড. খ মহিদউদ্দিন।
কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দিনের দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা ফয়জুল করিমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে ও গ্রেপ্তারকৃত দুই শিক্ষকের দেওয়া সাহসে নাহিদ আর মিঠুন এ কাজ করেছে। কিন্তু এর পেছনে কারা জড়িত রয়েছে, কারো ইন্ধন রয়েছে কিনা, থাকলে তাদের খুঁজে বের করতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাই আজ সোমবার কুষ্টিয়া আদালতে আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
আসামিরা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গোলাবাড়ি গ্রামের সামছুল আলম এর ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমসের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (২০)। এদের সহযোগী শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলী। এরা কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়ার ইবনি মাসউদ মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষক।
ঘটনার পর বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত ২টা ১৬ মিনিটে অভিযুক্ত আসামি মাদরাসা ছাত্র সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ ও আবু বক্কর ওরফে মিঠুন হাতুড়ি দিয়ে কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। এর প্রতিবাদে কুষ্টিয়াসহ সারাদেশ উত্তাল রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৫৪:০৩ ১০৪ বার পঠিত