নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আমরা যদি আবারো নির্বাচিত হই তাহলে সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের ইচ্ছা থাকলে তারা অনেক কিছুই করতে পারে। আগে জেলা পরিষদে ৫/৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল, আমি জনপ্রতিনিধি হবার পর আজ এখানে ১ কোটি ৮ হাজার টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সদর উপজেলাধীন জালকুড়ি নাছির নগর এলাকায় ৩নং ও ৪নং ভূইঘর পূর্ব দেলপাড়ার আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন জামে মসজিদ সড়কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদের ইতিহাসের সবোর্চ্চ বাজেটের এই সড়কটি প্রায় ১ কোটি ৮ হাজার ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, জেলা পরিষদের সদস্য মো. মোস্তফা হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলম চাঁন, সাফায়েত হোসেন শুভ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একসময় পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্ন ছিল, যা কোনদিন কেউ চিন্তাই করতে পারেনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ বরাদ্দ না হবার পরেও জাতির জনকের কন্যা বলেছিলেন পদ্মা সেতু হবে। অনেকেই বলেছিলেন, পদ্মা সেতু হতে পারেনা, হতে পারেনা। আজকে সেই সেতু দৃশ্যমান। ইনশাআল্লাহ আগামী ১ বছরে এ সেতুতে যানবাহন চলবে।
তিনি আরো বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজের সাধারণ সম্পাদক থাকতে বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করো এবং মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করো। আমার সেই কথা এখনো মনে আছে। আমাকে যখন শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলেন, আমি শপথ নিতে গেলাম তখন তিনিও আমাকে একই কথা বললেন। আজকে আমি মানুষের কল্যানে কাজ করছি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের সময়ে স্মৃতিচারণ করে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি শহরের লোক। আমি নাসিক মেয়র হতে চেয়েছি। আমি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছি। সে সময় দলও আমাকে সমর্থন করেছিল।
কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত চৌকস বুদ্ধি রাখেন। তাই ভেবেছেন আনোয়ার হোসেন একজন প্রবীণ লোক। তাকে শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে পুরো নারায়ণগঞ্জের দায়িত্ব অর্পিত করলে সে আরো ভালো কাজ করতে পারবে। তাই তিনি আমাকে নারায়ণগঞ্জের ৫ টি উপজেলার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমিও ৫টি উপজেলার সমস্ত যায়গায় উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছি।
উন্নয়ন কাজের সম্পর্কে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি যখন দেখলাম এই মসজিদে পানি ভেঙ্গে মুসল্লিদের আসতে হয়, তাই আমি নিজেই এখানে এসেছিলাম। এলজিইডি সহ বিভিন্ন যায়গায় তদবির করে পরে এই রাস্তার কাজ করেছি। আমি আপনাদের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি আপনার দোয়ায় এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানকার জনপ্রতিনিধি একেএম শামীম ওসমান আমার অত্যন্ত স্নেহধন্য আমার শিষ্য তাকে আমি রাজনৈতিক হাতেখড়ি দিয়েছলাম। এক সময় তোলারাম কলেজ ছাত্র সংসদে সে যখন রাজনীতি করতো তখন তার বাবার কাছে আমি আবদার করেছিলাম জোহা ভাই আমি শামীম ওসমানকে তোলারাম কলেজের ভিপি বানাতে চাই। তিনি তখন বলেছিলেন, আনোয়ার আমার পুরো পরিবারটা রাজনীতির সাথে যুক্ত তুমি তাকে রাজনীতিতে এনোনা কারণ আমি তাকে ব্যারিস্টার বানাতে চাই।
তিনি বলেন, তৈমুর আলম খন্দকারও রূপগঞ্জের একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য আমার কাছে প্রার্থনা করেছিল। আমি ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়ে সেখানে ব্যবস্থা নিয়েছি। শেখ হাসিনা আমাকে শিখিয়েছে, উন্নয়ন যেন বাধাগ্রস্থ না হয় এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন দলমত নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৮:০৪ ৯০ বার পঠিত
