
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বন্ধসহ ৯ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন নেতৃবৃন্দ। এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ফ্রন্ট’র জেলা সভাপতি সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন, অর্থ সম্পাদক মুন্নি সরদার, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ জেলার সংগঠক মোহসীনা সীথি, ছাত্র ফ্রন্ট ফতুল্লা আঞ্চলিক শাখার সংগঠক ফয়সাল আহাম্মেদ রাতুল।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘরে বাইরে সর্বত্র নারী ও শিশুর উপর সহিংসতা চলছে। করোনা মহামারি থেকে চলছে ধর্ষণের মহামারি। এর অধিকাংশ ধর্ষকই বর্তমান সরকার দলীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী।
তারা বলেন, প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে ও বিচারহীনতার কারণে ধর্ষকরা আজ বেপরোয়া। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে নারী ও শিশু নির্যাতনের ১০০ টি মামলার মধ্যে ৯৭ টিরই কোন বিচার হয় না। কেবল মাত্র ৩ টি মামলার বিচারের রায় হয় এবং রায় বাস্তবায়ন হয় মাত্র ০.৩৭ ভাগ।
বক্তারা বলেন, এই বিচারহীনতার বিরুদ্ধে মানুষ আজ ফুঁসে উঠেছে। একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশবাসীর প্রত্যাশা সারাদেশে ভয়াবহ মাত্রায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বন্ধে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
এ সময় বক্তারা বলেন, ধর্ষক পশু নয়, ধর্ষক হয়ে কেউ জন্মগ্রহণ করে না, সমাজের মধ্যেই সে ধর্ষক হয়ে ওঠে। ধর্ষণের অন্যতম প্রধান কারণ সমাজে নারীকে পণ্য হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা এবং নারী ও পুরুষের অধিকারের মধ্যে অসমতা। সমাজে নারীকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা না দেওয়া।
তারা বলেন, ৪৯ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধে দেশের সকল মানুষ যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঠিক তেমনিভাবে আজকেও নারী পুরুষসহ সকল গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন বিবেকবান মানুষের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে জাগরণ দরকার। গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার।
বক্তারা অব্যাহত নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৪:৩৭ ৯৮ বার পঠিত