সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যাত্রীবাহী বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় বাসের হেলপার আব্দুর রশিদকে (২৭) আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল রোববার গভীর রাতে জেলার ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বুরাইরগাঁও গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, বাসের মালিক আব্দুল আলীর সহায়তায় পিবিআই সিলেট অফিসের অফিসাররা আব্দুর রশিদকে কৌশলে বুরাইরগাঁও গ্রাম থেকে আটক করে। আ. রশিদকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ও সুনামগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল মিয়া। আটককৃত আ. রশিদকে সিলেটের পিবিআই অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আটককৃত হেল্পার আব্দুর রশিদ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের কামরাঙ্গিরচর গ্রামের হাবিব আহমদের ছেলে। ঘটনার পরপরই তিনি ছাতকের বুরাইগাঁও গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করেছিল। গোপনে খবর পেয়ে বাস মালিক ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের আনুজানি গ্রামের আব্দুল আলী বিষয়টি সুনামগঞ্জ ও সিলেটের মাস মালিক সমিতিকে অবগত করেন। পরে বিষয়টি সিলেটের পিবিআইকেও অবগত করা হলে পিবিআই গতকাল রোববার গভীর রাতে আব্দুর রশিদকে আটক করে। তবে বাসের চালক শহীদ মিয়া এখনও পলাতক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৬ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে আসার পথে দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে যাত্রীবাহী বাসে একা পেয়ে ড্রাইভার, কন্টাক্টর ও হেলপার ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে রাস্তার পাশে আহত অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে দিরাই হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে। তবে ড্রাইভার, কন্টাক্টর ও হেল্পার পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গেলো শনিবার রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের ড্রাইভার, কন্টাক্টর ও হেল্পারকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়ি দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামে। তিনি দিরাই ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই ছাত্রী বর্তমানে সিলেটের এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৬:৩৬ ৬৯ বার পঠিত