
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনমুখী রাজনীতি করতেন। সব পরিস্থিতিতেই আলোচনার পথ খোলা রাখতেন। জনগণই ছিল তাঁর মূল হাতিয়ার।’
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দেশপ্রেম ও দূরদর্শিতা এবং কর্মক্ষেত্রের তার প্রয়োগ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
নূরুল মজিদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু বিশেষভাবে উদ্যোগী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরও জাতির পরিপূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ অঞ্চলে স্বাধীনতার বীজ বপন করেন। অনেক অভিজ্ঞ নেতার বিরোধিতা সত্ত্বেও তিনি ৬ দফা ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার পথে জাতিকে পরিচালিত করেন’।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণে যুদ্ধ পরিচালনার সব রূপরেখা ও নির্দেশনা প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে বাংলাদেশ আরও আগেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো।’
অনুষ্ঠানে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘এ জাতির নিকট বঙ্গবন্ধু একটি গভীর আবেগের নাম, ভালোবাসার নাম। ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যখন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধু কোনো ব্যক্তি ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাঙালি জাতি। স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠে।’
এ সময় শিল্পসচিব কে এম আলী আজম বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শিল্পখাতের উন্নয়নে কাজ করার জন্য মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থাসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনলাইনে সংযুক্ত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪১:৩৭ ১০৭ বার পঠিত