অভিনেতা ও কন্ঠশিল্পী সুচিন্তা চৌধুরী চঞ্চলকে (চঞ্চল চৌধুরী) সম্মাননা ও সংবর্ধনা দিয়েছে কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (কোডা)। দ্বিতীয়বারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ায় তাকে এ সংবর্ধনা দিল চঞ্চল চৌধুরী’র প্রাক্তন কর্মস্থল কোডা’র সহকর্মীবৃন্দ।
মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডিস্থ ইউডা অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে চঞ্চল চৌধুরীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন ইউডা’র রেজিস্ট্রার ড. ইফাত চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সোডা, কোডা ও ইউডা’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মুজিব খান, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য খাজা জিয়া ও কোডা’র বিভিন্ন ইউনিটের অধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভিডিও প্রদর্শনীর মাধ্যমে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে কোডা’র বিভিন্ন সময়ের স্মৃতি তুলে ধরা হয়। এছাড়াও প্রদর্শনীতে স্থান পায় চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত বেশ কিছু চলচ্চিত্র ও নাটকের অংশ বিশেষ।
চঞ্চল চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অধ্যাপক মুজিব খান বলেন, “সে আগাগোড়াই আমাদের পরিবারের সদস্য। আমরা ছোট বেলা থেকে যা দেখে আসছি, অনেক বড় বড় অভিনেতা দীর্ঘদিন অভিনয় করার পরেও এমন সম্মান পাননি। সেদিক থেকে দু’বার সে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। এটা একটা বড় পাওয়া।”
তিনি আরও বলেন, ‘সুচিন্ত চৌধুরীরা আসলে সাধারণত জন্মায় না। এটা বাংলাদেশের জন্য এক বিশেষ পাওয়া।’
কোডা’য় নিজের কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টা কেটেছে কোডা’র বিশাল পরিবারে। প্রতিটা মানুষের চলার পথে কিছু পরিষ্কা রাস্তা দরকার, কিছু মানুষের হাত দরকার, যা সাপোর্ট দেবে। আমি আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্টটা পেয়েছি আমার প্রতিষ্ঠান থেকে।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমারো ছোট বেলা থেকে ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হবো। অভিনেতা হবো সে ইচ্ছা কখনোই ছিল না। আজ যে আমি, তার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান এ প্রতিষ্ঠানের। আমি মঞ্চে কথা বলা শিখেছি এখানেই। আমার যোগ্যতার চাইতে আমার প্রাপ্তি অনেক বেশি।’
গত ৫ এপ্রিল শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান চঞ্চল চৌধুরী। এর আগে ২০১০ সালে গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত মনপুরা চলচিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। আয়নাবাজি’র শরাফত করিম আয়না চরিত্রে অভিনয়ের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার পান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৮:২৬ ৩৮৮ বার পঠিত