না.গঞ্জ প্রেসক্লাবে উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনের মতবিনিময় সভা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » না.গঞ্জ প্রেসক্লাবে উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনের মতবিনিময় সভা
রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১



---

বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্দ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ রশিদের সভাপতিত্বে রবিবার (১৭ জানুয়ারী) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- রুপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.শাহজাহান ভুইয়া,আড়াই হাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হেলো,নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাড.আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসি আলম নীলা, ফাতেমা মনির, ঝর্না রহমান, সালিমা হোসেন শান্তা ও মাহমুদা আক্তার ফেন্সি প্রমুখ।

সভায় ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করে এগুলো বাস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয়। ৫ দফার দাবিগুলো হলো- নির্বাচনী প্রশাসনের একাংশ উপজেলা পরিষদের নিকট ১৭টি বিভাগের কার্যক্রম যাহাতে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

ভাইস চেয়ারম্যানদের ১৭ বিভাগের সভাপতিত্বে সতেরটি স্থায়ী কমিটি বিদ্যমান রয়েছে তা কার্যকর করা হোক। উপজেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনুমোদনক্রমে প্রশাসনিক ওবেতন ভাতাদি আর্থিক অনুমোদন নিয়ে হস্তান্তরিত সতেরটি বিভাগের কার্যগুলি সম্পাদন করা নির্দেশনা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করা হোক।

উপজেলাধীন সকল রাজস্ব জমা বিভাজন ব্যায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে সম্পানে যৌথ আয়ন-ব্যায়ন আদেশ প্রদান করা হোক। জনস্বার্থে এ খাতে বিদ্যমান অনিয়ম বন্ধ করা হোক।

বিদ্যামান নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ,প্রশাসনের একাংশ সকল আনুষ্ঠানিকতায় আইন বর্হিভুত উপজেলা প্রশাসন ব্যবহার না করে ২০১০ সালে সরকার কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা “উপজেলা পরিষদ” ব্যবহার কার্যকর করা হোক।

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে নিয়ে টিম-ওয়ার্ক মাধ্যমে তৃনমুলের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।

মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যানরা আমলাদের বাধার কারনে উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন হচ্ছেনা অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯৮ সালে আইন প্রবর্তন করে ২০০৯ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ প্রবর্তন করা হয়। যা আরো কার্যকর করতে ২০১১ সালে উপজেলা পরিষদ আইনকে সংশোধন করা হয়।

তৃতীয় তফসিলের মাধ্যমে উপজেলার ১৭টি বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারি ও তাদের কার্যাবলী উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু এ হস্তান্তরের পরে প্রায় এক যুগ চলে গেলেও এ ১৭ টি বিভাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বেই চলছে।

উপজেলা চেয়ারম্যানদের আওতাধীনে এসব বিভাগ দেয়া হয়নি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের জারিকৃত সকল নির্দেশ উপেক্ষা করে ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রনালয় এসব বিভাগের জন্য আলাদা পরিপত্র জারি করে এগুলি ইউএনও’র দায়িত্বেই রেখেছেন।

এসব পরিপত্র ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মতো উপজেলা আইনের সাথে সাংঘর্ষিক ও অসামঞ্জস্যপূর্ন। পাকিস্থানীরা যেমন বাঙ্গালীর শাসন মেনে নিতে পারেনি তেমনি সরকারি আমলারা স্থানীয় প্রশাসনে জনপ্রতিনিধিদের শাসন মেনে নিতে পারছেনা।

চেয়ারম্যানরা জানান, এ দাবীতে তারা আগামী ২৭ জানুয়ারী সকাল দশটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিন করবেন। এরপরেও তাদের দাবী মানা না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে ঘোষনা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২:২৫:৩৬   ৬৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ