নিউজ২নারায়ণগঞ্জঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, বাংলার প্রতিটি নারীই সাহসের বাতিঘর। ‘বোনেরা নিজেদের দূর্বল ভাববেন না’- বিপ্লবী অগ্নিকন্যা প্রীতিলতার লেখা শেষ চিঠির এই উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক নারীই তার নিজের অধিকার নিজেই প্রতিষ্ঠা করে।পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে প্রীতিলতা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তা যুগ যুগ অনুপ্রেরণা যোগাবে সকল নারী তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।
তিনি আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ভোরের কাগজ ও প্রীতিলতা ট্রাষ্ট আয়োজিত বীর কন্যা প্রীতিলতা ওয়েদ্দেদারের ১০৭তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
স্পীকার বলেন,শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নারীরা এগিয়ে যায়। সময়ের প্রয়োজনে বাংলার নারীরা কখনই পিছপা না হয়ে অগ্রসর হয়েছে সম্মুখপানে- ভবিষ্যতেও নারীদের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। নারী নেতৃত্ব তথা প্রীতিলতার নেতৃত্বের গুণাবলীতে আস্থা রেখেই মাষ্টার দা সূর্য্য সেন প্রীতিলতাকে গুরু দায়িত্ব দিয়েছিলেন। নারীর রয়েছে অন্তর্নিহিত শক্তি- চরম দৃঢ়তা ও আত্ম প্রত্যয় নিয়ে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নারীর অংশগ্রহণ ও ত্যাগ প্রশংসনীয়।
স্পীকার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের ফসল।বাঙ্গালী জাতির রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। এ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে, সূচনা করতে হবে ভবিষ্যৎ পথ চলা-যা তরুণ প্রজন্মকে সমৃদ্ধ করবে।বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেতাজী সুবাস চন্দ্র বোস, মাষ্টার দা সূর্য্যসেন, প্রীতিলতা , বিনোদ বিহারী এঁদের আত্মত্যাগ এবং পরবর্তীতে পাকিস্তানী জান্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আপোসহীন নেতৃত্ব ও ত্যাগের কারণেই পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের-বাঙ্গালী জাতি পেয়েছে স্বাধীন পতাকা।
তিনি আরও বলেন, মহিয়সী নারী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের এ মে মাসেই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর তিনি শুরু করেন গণতন্ত্র রক্ষা ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার আন্দোলন।তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সে কারণে তিনি আজ বিশ্ব নারী নেতৃত্বের পথিকৃত।
চট্টগ্রামের পটিয়াস্থ ধলঘাটে স্থাপিত ’প্রীতিলতা কমপ্লেক্স’ প্রীতিলতার দর্শন ও আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাবে আশা প্রকাশ করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের নারী উন্নয়ন বিস্তৃত করতে ‘প্রীতিলতা কমপ্লেক্স’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সভাপতিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম,জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম,বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক পরিচালক হান্নানা বেগম,মুক্তিযোদ্ধা ও নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, নাট্য ও সংগীত ব্যক্তিত্ব শম্পা রেজা ও প্রীতিলতা ট্রাষ্টের সাধারণ সম্পাদক পংকজ চক্রবর্তী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিজেরা করি’র নির্বাহী পরিচালক খুশি কবীর।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সংগীত পরিবেশন করে খেলাঘরের শিল্পীবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৮:০০ ৪৫৬ বার পঠিত