নিজের আধা পাকা ঘর আর জমি পেয়ে আনন্দে ভাসছে উপকার ভোগীরা। গৃহহীন মানুষগুলো কখনও যা স্বপ্নেও ভাবেনি। নিজের ঠিকানা পেয়ে এখন নতুন জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক জানান, মুজিববর্ষের মধ্যেই সব গৃহহীনকে ঘর দেয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
মোমেনা বেগম নামে এজন উপকারভাগী জানান, নদী ভাঙনে হারিয়েছেন মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়স্থল। পরের ঘরে থেকে জীবনে কখনও স্বপ্ন দেখেননি নিজের একটি ঘর হবে। আমরা তো কখনও স্বপ্নেও ভাবেনি ঘর পাব।
মোমেনার মতো অনেক পরিবারের কোনও জমি বা ঘর নেই। নতুন বাসস্থান পেয়ে খুশি মানুষগুলো।
ঘর পাওয়া ব্যক্তিরা বলেন, আমরা জায়গা পেলাম আর ঘরও পেলাম। এই জন্য মনের মাঝে অনেক আনন্দ। শেখ হাসিনার জন্য আমরা ঘর পেয়েছি। এখন আমরা আমাদের ঘরে ঘুমাতে পারবো।
সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রতিটি পরিবার দুই রুমের আধা পাকা ঘর পেয়ে বাঁধভাঙা আনন্দে ভাসছে।
ঘর পাওয়া ব্যক্তিরা আরও বলেন, কোনোদিন কল্পনা করিনি আমরা ঘর পাব। হাসিনা ম্যাডামের জন্য দোয়া করি। আমরা একটি ঘর পেয়েছি আর তাতে দুটি রুম। আমাদের শান্তিতে থাকার ঘর বানিয়ে দিয়েছে শেখ হাসিনা।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন জানান, মুজিববর্ষের মধ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা তৈরি করে সবার মাঝে ঘর দেয়ার জন্য কাজ চলছে। আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি বিধবা প্রতিবন্ধী আর বয়স্কদের। এটি কয়েকবার যাচাই করা হয়েছে। কারণ যে প্রাপ্য নয় তার নাম যেন না আসে তালিকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৩:২৯ ৬১ বার পঠিত