ফরিদপুরে কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগম ও সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসানের হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। শিক্ষিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাটি হয়েছে। তবে ব্যাংক কর্মকর্তা হত্যায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
সোমবার রাতে এই মামলাটি দায়ের করেন সাজিয়ার ফুফু আফসারী হোসেন। তিনি মামলায় অঞ্জাতনামাদের আসামি করেন। ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার মামলা নম্বর ১৩।
এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুকের পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দাখিল করেনি বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি এ এফএম নাছিম।
ওসি জানান, কলেজ শিক্ষিকা ও ব্যাংক কর্মকর্তা হত্যার বিষয়ে সাজিয়ার ফুফু আফসারী হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই মামলায় আমরা সরকারি সারদা সুন্দরী কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগমে স্বামী শেখ শহিদুল ইসলামকে আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছি । তবে তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ময়নাতদন্তের পর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
জোড়া খুনের ঘটনায় কলেজ শিক্ষিকরা স্বামী ব্যবসায়ী শেখ শহিদুল ইসলামকে সোমবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে হত্যা মামলা দায়ের হলে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিচার দাবিতে বিক্ষোভ, স্মারকলিপি
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগমের হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি দিয়েছেন কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বিক্ষুব্ধরা বেলা ১১টার দিকে শহরের সারদা সুন্দরী কলেজের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।
ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলীর নূরুল ইসলামে বাড়ি থেকে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাজিয়া বেগম ও ফারুক হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সাজিয়া বেগম ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গারস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। আর ফারুক ছিলেন সোনালী ব্যাংকের ঢাকার মতিঝিল করপোরেট শাখার কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩২:৪০ ৩৪৯ বার পঠিত