নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্বামীর হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার সামনেই স্ত্রীকে দলবেধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। সোমবার দুপুরে সালাউদ্দিন নামে এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১১ মে ভোর রাতে তারাব পৌরসভার দিঘী বরাব বৌবাজার এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে বলা হয়।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক শহিদুল আলম জানান, ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার কছাকাটা থানার বেগুনিপাড়া এলাকায়। তারা স্বামী-স্ত্রী স্থানীয় একটি মেলামাইন কারখানায় কাজ করেন। উপজেলার তারাব পৌরসভার বরাব বাজার এলাকায় বসবাস করে আসছেন। গত ৬ মে গৃহবধূসহ তার স্বামী গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। বেড়ানোর শেষে গ্রামের বাড়ি থেকে ১০মে রওনা দিলে ১১ মে ভোর রাতে রূপগঞ্জের বরাব বাস স্টেশনে নামেন। পরে দিঘী বরাব বৌবাজার এলাকায় যাওয়ার জন্য রিকশা বা কোন প্রকার যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেটে রওনা দেন। দিঘী বরাব বৌবাজার এলাকায় পৌছালে মোগরাকুল এলাকার মৃত কুদ্দুস আলীর ছেলে আবুল হাসেম ও দিঘী বরাব বৌবাজার এলাকার দ্বীন ইসলামের ছেলে সালাউদ্দিন তাদের পথরোধ করেন। এক পর্যায়ে স্বামীকে হাত-পা বেঁধে ফেলেন। পরে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই গৃহবধূকে সালাউদ্দিন ও আবুল হাসেম ধর্ষণ করেন। শুধু তাই নয়, গণধর্ষণের পর ভয় দেখিয়ে স্বর্ণের নাক ফুল ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। এসময় তাদের চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
শহীদুল আলম আরও বলেন, দিঘী বরাব বৌবাজার এলাকার দ্বীন ইসলামের ছেলে সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেছেন। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৭:৩১ ৩৪৫ বার পঠিত