নিউজ২নারায়ণগঞ্জঃ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী খাতের ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্যোগের কারনে প্রতি বছর বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি হলেও পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা বেড়েছে। বাংলাদেশ সফলভাবেই দুর্যোগ মেকাবেলা করে যাচ্ছে, এতে আন্তর্জাতিক সুনাম অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশকে সফলভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। এতে বাংরাদেশের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে। কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশে বেসরকারী পর্যায়ে একের পর এক গ্রীণ ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জরিপে বিশে^র ১০টি গ্রীন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশের ৭টি রয়েছে। এরমধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী গ্রীণ ফ্যাক্টরিও বাংলাদেশের। বাংলাদেশে আরো ৬৭টি গ্রীণ ফ্যাক্টরি পর্যায়ক্রমে গড়ে উঠছে। বাংরাদেশের শ্রমিকরা এখন ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে কাজ করছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের উপকোলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই সাইক্লোন প্রিপিয়ারনেস প্রোগ্রাম(সিপিপি) এর উদ্বোধন করেন। উপকোলীয় অঞ্চলের ১৪টি জেলায় তা কার্যকর ভাবে অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বেসরকারি সেক্টরও দুর্যোগ মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছে। সরকারি ও বেসরকারি সেক্টর একত্রে কাজ করে বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য সফলতা পাচ্ছে, আগের চেয়ে ঝুকি কমেছে। এটা প্রমানীত দুযোগ মোকাবেলায় পূর্বে ১ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করলে ৪ থেকে ৭ মার্কিন ডলার মুল্যের সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত দ্বিতীয় ডিজেবলিটি এন্ড ডিজেসটার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কনফারেন্সের “প্রাইভেট সেক্টর এন্ড ইনক্লুসিভ ডিজেসটার রিস্ক রিডাকশন” শীর্ষক শেসনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এফবিসিসিআই-এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম এর সঞ্চালনায় বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একশন এইডের এ এম নাসির উদ্দিন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রায় প্রতিবছর বাংলাদেশে বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, টর্নেডোসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হাতে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাংলাদেশ দক্ষতার সাথে সফল ভাবে এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করে আসছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রচেষ্টায় সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে সচেতন করা হয়, নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়। সরকারের ব্যবস্থাপনায় বেশকিছু স্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেক কমে এসেছে, বলা যায় গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে এসেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এম এ লতিফ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩২:২৪ ৪৭৬ বার পঠিত