জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মো.বাদল বলেছেন, এই বন্দরের মাটি আওয়ামীলীগের ঘাঁটি। বন্দরের মাটি নৌকার ঘাঁটি। কে লাঙ্গল করেন, কে কোন পার্টি করেন তাঁর অত্যাচারে, নির্যাতনে আজ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্ছিত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমাদের আক্ষেপ আমরা নৌকা চাই, নৌকায় ভোট দিতে চাই। তাই বলতে চাই এ আসনটিতে (নারায়ণগঞ্জ-৫ আমাদের দাবী যদি মহাজোটের সাথে কোন ধরণের সমঝোতাও হয় তবে তাদের অন্য কোন জায়গায় দিন। নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ৫টি আসনই আমরা নৌকার দাবী করি।
সোমবার (২১ মে) বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ভিপি বাদল আরো বলেন, ২০০১ সালের পর কিভাবে তৎকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতায় এসে একটি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীকেও ঘরে থাকতে দেয় নাই, আদালতে হাজিরা দিতে দেয়া হয় নাই। যারা নৌকার প্রহরী হিসেবে ভোট চেয়েছে, পোলিং এজেন্ট হয়েছে তাদের হাত-পা কেটে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মাফ দিয়েছিলেন।
একটা মানুষ প্রতিশোধ নিতে চাইলে এক মুহুর্ত্ব সময় লাগে না। ইচ্ছা করলে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা প্রতিশোধ নিতে পারতো। বঙ্গবন্ধুর কন্যার নিষেধ ছিলো। তিনি বলেছিলেন সহাবস্থানে থেকে রাজনীতি করার জন্য। ক্ষমতায় আসার জন্য তিনি রাজনীতি করেন নাই।
ভিপি বাদল আরো বলেন, আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে তিনি নারায়ণগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের থানা, ইউনিয়ন এলাকার মানুষের খোঁজ খবর এবং কুশলাদি জিজ্ঞাসা করেছেন। আপনাদের সকলের কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া চাইলাম। আপনারা সকলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো পুনরায় নির্বাচিত করবেন।
ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শাহ আলম মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ রশিদ, সিনিয়র সহসভাপতি মো.সিরাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো.আলমাস ভূইয়া, সদস্য অ্যাডভোকেট ইসহাক মিয়া, নাসিক ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু, ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খন্দকার হাতেম হোসেইন, বন্দর থানা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেন খাঁন, আওয়ামীলীগ নেতা নাসির উদ্দিন, আলী ভুইয়া, মনির আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩১:৩২ ৪৫৯ বার পঠিত