কিশোরীরর নগ্ন ছবি ধারণ করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে একটি চক্র। পরে ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করে ওই কিশোরীকে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করে পাচারকারী চক্রটি। কৌশলে পালিয়ে এসে ওই কিশোরী র্যাবকে বিষয়টি জানালে নারী পাচার চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করে র্যাব।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফরিদপুর সদর উপজেলার বাখুন্ডা ও শিবরামপুরে অভিযান চালিয়ে নারী পাচার চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেন র্যাব ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
র্যাব-৮ সূত্র জানায়, গত ছয় মাস পূর্বে ফরিদপুর সদর উপজেলার বাখুন্ডা এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে প্রতারণামূলকভাবে গৃহবন্দি করে নগ্ন ছবি ধারণ করে ওই এলাকার নারী পাচার চক্রের মূলহোতা লিটন শেখ ও তার সহযোগিরা। পরে ইন্টারনেটে ওইসব দৃশ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে। ঢাকায় ওই কিশোরীকে নেয়ার পর একটি ফ্লাট বাড়িতে আটকে রেখে তাকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে লিটন ও তার সহযোগিরা। পরবর্তীতে ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি করে কিশোরীকে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করে চক্রটি।
faridpur-Atok-4
এরই মাঝে ওই কিশোরী কৌশলে রায়ের বাগের ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে নিজ বাড়ি বাখুন্ডায় এসে তার বাবা-মাকে বিষয়টি অবহিত করে। ঘটনাটি জানার পর কিশোরীর বাবা ও মা র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কাছে আইনগত সহযোগিতা কামনা করে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে র্যাব অভিযান চালিয়ে নারী পাচার চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করে।
আটকরা হলেন, ফরিদপুর সদর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মো. লিটন শেখ (৩০), নাসিমা বেগম কমলা (৫০), নাইমুজ্জামান রাজু (১৯), শারমিন বেগম লিপি (৩৩), মো. মোস্তাক খান (৪০), কাফুরা গ্রামের শেখ আলাউদ্দিন (৬০) ও শেখ আফজাল (৩৫) ও বাখুন্ডা গ্রামের তানজিলা আক্তার (১৯)।
ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা র্যাব ক্যাম্পে এসে অভিযোগ দেন। অভিযোগ পাওয়ার পর ফরিদপুর সদর উপজেলার বাখুন্ডা ও শিবরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংঘবদ্ধ নারী পাচার চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৬:৫৬ ৩৬৮ বার পঠিত