বহুল প্রতীক্ষিত ‘সোলো : অ্যা স্টার ওয়ারস স্টোরি’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। আমেরিকান স্পেস ওয়াস্টার্ন ধাঁচের ছবিটির বিষয়বস্তু স্টারওয়ার এবং কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘হ্যান সোলো’কে কেন্দ্র করে এর গল্প আবর্তিত হয়েছে। এরমধ্যে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে বেশ সাড়া তুলেছে ছবিটি।
এ ছবিতে নায়ক হ্যান সোলোর প্রেমিকা কিয়ারা চরিত্রে রূপদান করেছেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমিলিয়া ক্লার্ক। অভিনীত চরিত্রটিতে চমৎকার অভিনয় করেছেন ৩২ বছর বয়সী সুন্দরী, মেধাবী এই অভিনেত্রী।
লন্ডনের বার্কশায়ারে জন্মগ্রহণকারী এমিলিয়া নাটক নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ড্রামা সেন্টার লন্ডনে। ওখানে পড়াশোনা করার সময়েই বেশ কিছু নাটক অভিনয়ের অভিজ্ঞতা হয় তার। ২০০৯ সালে ছোটপর্দায় তার অভিষেক ব্রিটিশ সোপ অপেরা ‘ডক্টরস’-এ অভিনয়ের সুবাদে। ওই সময় ‘স্ক্রিন’ ইন্টারন্যাশনাল ম্যাগাজিন তাকে আগামী দিনের অন্যতম তারকা হিসেবে মনোনীত করেছিল। ২০১০ সালে সায়েন্স ফিকশন ছবি ‘ট্রিয়াসিক অ্যাটাক’-এ অভিনয়ের জন্য এমিলিয়া সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন প্রচণ্ডভাবে। ২০১১ সালে এইচবিও ফ্যান্টাসি টেলিভিশন সিরিজ ‘গেম অব থ্রনস’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও পরিচিতি লাভ করেন।
ওই আলোচিত টিভি সিরিজে অভিনয় করে তার ক্যারিয়ারে ভিন্নমাত্রা যুক্ত হয়েছিল। এজন্য প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ড-এ আউটস্ট্যান্ডিং সাপোর্টিং অ্যাকট্রেস হিসেবে তিনটি মনোনয়ন লাভ করেন। ব্রডওয়েতেও অভিনয়ের সুযোগ হয়েছে এমিলিয়া ক্লার্কের। ২০১৩ সালে ‘ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিস’-এ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে মঞ্চে তার অভিষেক হয়েছিল। ব্রডওয়ের নাটকে অভিনয়ের শুরু করতেই দর্শক-সমালোচকের নজর কেড়েছিলেন। ২০১৫ সালে সায়েন্স ফিকশন সিনেমা ‘টার্মিনেটর জেনিসিস’-এ ‘সারাহ কোনো’র চরিত্রে তার পর্দা উপস্থিতিতে আলাদা চমক ছিল।
অভিনয়ের ক্ষেত্রে এক ধরনের চরিত্রে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখার পক্ষপাতী নন এই ব্রিটিশ অভিনেত্রী। ব্রিটিশ কিংবা হলিউডি সিনেমায় তাকে এরমধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোলে দেখা গেছে। ‘সায়েন্স ফিকশন ফিল্মে হোক কিংবা প্রেম-রোমান্স নির্ভর লাভস্টোরি হোক, আমি সব ধরনের সিনেমায় কাজ করতে আগ্রহী থাকি সবসময়। আমি বৈচিত্র্যপিয়াসী অভিনেত্রী, বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের স্বাদ গ্রহণে উন্মুখ হয়ে থাকি। আমি এ পর্যন্ত যতগুলো সিনেমায় অভিনয় করেছি, তাতেই বিভিন্ন ধরনের রোলে নিজেকে উপস্থাপনের ভালো সুযোগ পেয়েছি, এ ক্ষেত্রে আমি নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবান,’ বলেন এমিলিয়া ক্লার্ক।
তার বাবা ছিলেন থিয়েটার সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার আর মা একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই অভিনয়ের প্রতি এমিলির আগ্রহের শুরু। সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার বাবার সঙ্গে থাকতে থাকতে অভিনয়ের প্রতি আরো ঝুঁকে পড়েছিলেন খুব অল্প বয়সে।
এমিলিয়া ক্লার্ক অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ডোম হেমিংওয়ে’, ‘টার্মিনেটর জেনিসিস’, ‘মি বিফোর ইউ’, ‘ভয়েস ফ্রম দ্য স্টোন’ প্রভৃতি। ‘সোলো : অ্যা স্টার ওয়ারস স্টোরি’ ছবিটির মাধ্যমে ঝড় তোলার পর তাকে খুব শিগগিরই আবার দেখা যাবে ‘এভার সাসপিশন’ ছবিতে। এতে তার অভিনীত চরিত্রের নাম ‘সুসান স্মিথ’। ছোটপর্দায়ও তার বিচরণ চোখে পড়ার মতো। ‘ডক্টরস’, ‘টিয়াসিক অ্যাটাক’, ‘গেম অব থ্রনস’, ‘ফিউচারা মা’, ‘রোবট চিকেন’, ‘অ্যানিমেলস’, ‘থ্রান্ডারবার্ডস আর গো’ প্রভৃতি টিভি সিরিজে তার উজ্জ্বল উপস্থিতি নজর কেড়েছে দর্শকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৫:৫৪ ৩৩৩ বার পঠিত