চা বিক্রেতা ইব্রাহীম মুসা (৪০) এখন শহরের শীর্ষ মাদক সম্রাট, মাদক ব্যবসা করে মাত্র ৩ বছরের এখন একাধিক দামী গাড়ী, ফ্ল্যাট ও কোটি কোটি টাকার মূল্যের সম্পওির মালিক বনে গিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শহরের তামাকপট্রি এলাকার মোঃ ইসমাঈল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম মুসা এক মাদক সম্রাটের ব্যক্তিগত গাড়ী চালক হয়ে অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন এর পরে শুরুতে গাড়ী চোর চক্রের সাথে সখ্যতা করে চোরাই গাড়ীর বেচা-কেনা, মাদক পাচার থেকে বিদেশী বিয়ার, মদ, ফেনসিডিল এবং ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আয় এবং জমি ব্যবসায় কালো টাকার বিনিয়োগ রয়েছে শহরের বর্তমানে শীর্ষ মাদক সম্রাট ইব্রাহীমের। অভিযোগ রয়েছে বর্তমানে দেশ ব্যাপী মাদক নির্মূলের অভিযান চলা কালীন সময়েও অভিনব কায়দায় ইব্রাহিম মুসা ও তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নাঃগঞ্জ শহর ও শহর তলীর বন্দর, ফতুল্লার কাশীপুর, মাসদাইর এলাকা জুড়ে চলছে জমজমাট মাদক ব্যবসা।
জানা গেছে গত ৪/৫ মাস পূর্বে নারায়নগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ (ডিবি)র উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আবু সায়েম ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মিজানের নেতৃত্বাধীন একটি টীম ফতুল্লার শিহাচর এলাকা থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক সম্রাট ইব্রাহীম মুসাকে আটক করেন। এঘটনায় মামলা দায়ের করে ডিবি তাকে আদালতে প্রেরন করলে মাত্র কিছু দিন কারাভোগ করার পরে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হয়ে ফের মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠে শীর্ষ মাদক সম্রাট ইব্রাহীম মুসা।
একাধিক সুত্রের অভিযোগ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাকিঁ দিয়ে শীর্ষ মাদক সম্রাট ইব্রাহিম মুসার সহযোগী কাশীপুর এলাকার কৃষকলীগ নেতা ইকবাল শেখের ছেলে দাউদ শেখ (কয়েক মাস পূর্বে বিপুল পরিমান মাদক সহ পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে জামিনে বের মাদক ব্যবসায় সক্রিয়), বাইটেক এলাকার ৩টি ইয়াবা মামলার আসামী জসিম ওরফে ছোট জসিম, শহরের পাইকপাড়া বড় কবরস্হান এলাকার ১১টি মামলার আসামী রঞ্জু, একই এলাকার খোকনের ছেলে শাকিল(কয়েক মাস পূর্বে ৮ হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক হয়),পাইক পাড়া এলাকার ৩টি ইয়াবা মামলার আসামী আরমান, ফতুল্লার মাসদাইরের লিটন জিলানী, সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার এজাহার ভূক্ত মামলা সহ ৫ টি মামলার আসামী মাসদাইর বেকারী মোড় পাক্কা পুলে স্বপন ওরফে বুইট্রা স্বপন (গত রমজান মাস ৪৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ থানা পুলিশ কর্তৃক আটক),মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরীর গুদারাঘাট এলাকার ফেনসিডিল ডিলার মাসুম বিল্লাল ওরফে ডিলার মাসুম (থানা পুলিশ কর্তৃক একাধিক বার আটক মাদক সহ, দেশের বিভিন্ন থানায় রয়েছে ৭টি মামলা)। মাদক সম্রাট ইব্রাহিম মুসার সহযোগী বডিগার্ড খ্যাত মুসার নামে ২টি বিয়ার ও মদের মামলা, ইব্রাহিমের গাড়ী চালক মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ২টি ইয়াবা ট্যাবলেট সংক্রান্ত মামলা, ম্যানাজার সানির বিরুদ্ধে রয়েছে ২টি মাদকের মামলা বন্দর থানায় এছাড়াও মাদক সম্রাট ইব্রাহীম মুসার সহযোগী গোপচরের মামুন, সোহেল এর বিরুদ্ধে মাদক, চুরি, ডাকাতির মামলা রয়েছে ৪ টি নাঃগঞ্জ সদর মডেল থানায়।
একটি সুত্রে জানা গেছে মাদক সম্রাট ইব্রাহিম মুসার সহযোগীদের নামে একাধিক মামলা এবং একাধিক বার গ্রেপ্তার হলেও এই চর্তুর মাদক সম্রাট কে এক বার ই আটক করতে সক্ষম হয়েছিলে ডিবি পুলিশ তবে এর আগে ডিবি পুলিশের একটি টীম বিপুল পরিমান মাদক সহ তার গাড়ী চালক কে আটক করলেও সে যাত্রা ডিবি পুলিশের চোখ ফাকিঁ দিয়ে পালিয়ে যাও ইব্রাহিম মুসা, ওই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হলে ইব্রাহীম মুসাও ছিলে প্রাথমিক এজাহারের আসামী কিন্তুু পরে চুড়ান্ত প্রতিবেদনে পুলিশ ইব্রাহিম কে অব্যাহতি দেয় মামলা থেকে।
একাধিক সুত্রের অভিযোগে জানা গেছে, শহরের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকার ফুটপাতে ৩ বছর আগেও চায়ের দোকান করে জীবন -যাপন করতো ইব্রাহিম, এক পর্যায়ে ইব্রাহীমের সাথে মাদক সম্রাট ও গাড়ী চোর চক্রের অন্যতম সদস্য রাহাতের পরিচয় হয়, রাহাত ইব্রাহিম কে তার ব্যক্তিগত গাড়ীর ড্রাইভার হিসাবে নিয়োগ দেন। সুত্রে জানা গেছে চর্তুর ইব্রাহীম মুসা মাদক পাচার ও গাড়ী চোর চক্রের কিছু সদস্যদের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলেন এবং বস রাহাত কে পল্টি দিয়ে নিজেই নেমে পড়েন মাদক পাচার, চোরাই কৃত গাড়ী বেচা-কেনার কাজে এই কাজে জাতীয় পার্টির এক সাবেক ছাত্র নেতার আর্শীবাদ পড়ে তার উপর। সুত্রের অভিযোগ এর পরে ইব্রাহীম মুসা শহরের এক যুব দল নেতার ভাগিনার সাথে বড় বড় ফেনসিডিলের চালান শহরে নিয়ে আসেন (উক্ত যুব দল নেতা বিগত -বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ক্রস ফায়ারে নিহত হয়)। গাড়ী চুরির ব্যবসা, ফেনসিডিলের ব্যবসার পর মাদক সম্রাট ইব্রাহিম মুসা মাদকপর পরিধি বৃদ্ধি করতে সংযোজন করেন বিদেশী মদ, বিয়ার এবং ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসা। এক পর্যায়ে তার সাথে গভীর সখ্যতা সৃষ্টি হয় শহরের আরেক শীর্ষ মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটুর, পরে বিটু -ইব্রাহিম মুসা মাদক ব্যবসার পাশা পাশি গোপচর, তামাক পট্রি, সৈয়দ পুর এলাকায় কয়েক শত বিঘা জমি কিনেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । সুত্রে জানা গেছে ইব্রাহিম মুসা ৩ টি বিয়ে করেছেন তার স্ত্রীদের নামে -বেনামেও রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পওি রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট,, বিভিন্ন সময়ে ইব্রাহিম সৌদি আরবে ওমরাহ্ হজ্জ করতে যায়। এসব বিষয়ে ইব্রাহিমের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) শরফুদ্দীন আহম্মেদ জানায়, মাদক ব্যবসায়ী, ডন, গড ফাদার আর শেল্টার দাতা যতো শক্তিশালী হোক না কেন আর যে দলের ই হোক তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৪:১৯ ৫০৪ বার পঠিত