নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বৃটেনের প্রায় দুইশতাধিক
কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে, বিনিয়োগের পরিমাণও অনেক। বৃটেন ইউরোপীয়
ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পর (ব্রেক্সিটের পর) বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য আরো
বাড়বে। বর্তমানে উভয় দেশের বাণিজ্য প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৃটেন
বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি
থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে বৃটেন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা
প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে । এ জন্য বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু
করেছে। বৃটেনও বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ঢাকায় সফররত
ব্রিটিশ স্টেট মিনিস্টার ফর এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক এট দি ফরেন এন্ড কমনওয়েল্ধসঢ়;থ
অফিস মার্ক ফিল্ড, এমপি এর সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের
এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ বর্তমানে ৪২তম অর্থনীতির
দেশ। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৮তম দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের
রোল মডেল। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নিজ
অর্থায়নে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক
বিনিয়োগ না করতে চাইলে, বাংলাদেশ নিজ অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করে
যাচ্ছে। বাংলাদেশের বাজেট এখন আর বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল নয়। নারীর ক্ষতায়নে
এ অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৭৩জন নারী সংসদ সদস্য
রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীর উপস্থিতি চোখে পরার মতো। তৈরিপোশাক শিল্পে ৪৫ লাখ
শ্রমিকের ৮০ ভাগ শ্রমিক নারী। নারীর ক্ষতায়নে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে।
ব্রিটিশমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে আগত
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ মানবতার জন্য বড়
কাজ করেছে। এজন্য বৃটেন বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
বাংলাদেশের পাশে আছে। এ বিষয়ে বৃটেন সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, বৃটেনের জেন্ডার সমতা বিষয়ে স্পেশাল
রিপ্রেজেনটেটিভ ফরেনসেক্রেটারি জোয়ান্না রিপার, ঢাকাস্থ বৃটিশ ভারপ্রাপ্ত হাই
কমিশনার কানবার হুসেইন বরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪২:৪৫ ২৫৮ বার পঠিত