দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া,
বীরবিক্রম, বলেছেন, প্রাকৃতিক নিয়ামকের সাথে আর্থসামাজিক বিষয়ক
কারণ যেমন হাওরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা, সঠিক সময়ে
বাধনির্মাণ ও মেরামত না হওয়া, প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের অভাবসহ নানাবিধ
কারণ দুর্যোগ ঝুঁকি বহুলাংশে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ ঝুঁকি নিরসনে সকলকে
একযোগে কাজ করতে হবে। আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে
অনুষ্ঠিত ‘হাওর এলাকায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার কারণ
চিহ্নিতকরণ ও ভবিষৎ করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা
বলেন।
মন্ত্রী বলেন, হাওর এলাকায় আকস্মিক বন্যার কারণ চিহ্নিতকরণ ও ঝুঁকি
মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও
ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর/দপ্তর ও জেলা
প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি গুরুত্বপূর্ণ
অনেকগুলো সুপারিশও করেছে।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চল বাদ দিয়ে টেকসই দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ
গঠন সম্ভব নয়। অন্যান্য এলাকার তুলনায় এ এলাকা সার্বিক উন্নয়নে পিছিয়ে
রয়েছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে নিবিড় ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
এজন্য বিজ্ঞানী, গবেষক ও পরিকল্পনাবিদদের কাজ করতে হবে। মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে
বলেন, আপনাদের সুচিন্তিত মতামত ও সুপারিশ এ এলাকার মানুষের
আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক হবে। আপনাদের
বাস্তবমুখী ও বাস্তবায়নযোগ্য গবেষণা ও সুপারিশ সরকার বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত
রয়েছে।
দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামালের সভাপতিত্বে
জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর
ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, ড. আইনুন নিশাত, ইমিরিটাস অধ্যাপক, ব্রাক
বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত পরিবেশ ও দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকগণ এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের
প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৬:২৫ ৩৯২ বার পঠিত