উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় রোববার রাতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আনোয়ার হোসেন বাহিনীর লোকজন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ হাসান, গার্মেন্টসকর্মী মোকসেদা আক্তার (২৯), যুবলীগ নেতা স্বপন মিয়াসহ ৫জনকে কুপিয়ে জখম করাসহ আরো ২০জনকে পিটিয়ে আহত করে।
আহতদের মধ্যে এম এ হাসান ও স্বপন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের অবস্থা আশংকাজনক।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার ও আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী বিউটি আক্তার কুট্টি জানান, এলাকার আধিপত্য ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আনোয়ার বাহিনীর লোকজন চনপাড়া এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে আনোয়ার বাহিনী। এতে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করেই কয়েকদিন ধরে এলাকায় যুবলীগ নেতা স্বপন মিয়া গ্রুপের সঙ্গে আনোয়ার বাহিনীর বিরোধ দেখা দেয়। রোববার রাতে আনোয়ার বাহিনীর প্রধান আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে জয়নাল, চাঁন মিয়া, খাজা, সোহরাব, মিজু, মনির, শাওন, বাবুল, ইয়াছমিন, নাজমা, তাসলিমা, পারভীন, রাজা, শফিকুল, সিডি শাহিন, মনা, সিরাজ, কাশেম, সেলিমসহ ৩০-৩৫জন দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্বপন ও তার লোকজনের উপর হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ১৫টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। বাঁধা দেয়ায় স্বপন মিয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসান, গার্মেন্টস কর্মী মোকসেদা আক্তারসহ ৫জনকে কুপিয়ে ও আরো অন্তত ২০জনকে পিটিয়ে আহত করে। আশংকাজনক অবস্থায় এম.এ হাসান ও স্বপন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত হাসানের ছেলে পারভেজ বিন হাসান জানান, তার বাবা চনপাড়া মসজিদ থেকে রোববার রাতে ঈশার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে বাড়ি ফেরার পথে আনোয়ার বাহিনীর লোকজন বিনা কারণেই কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। হাসানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালোর ছুরির ১৭টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্বপন মিয়ার গলা, পেট, পিঠ ও পা কুপিয়ে জখম করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, রাতেই আনোয়ার বাহিনীর লোকজন চনপাড়া আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালিয়ে আলমারী, স্যুকেস, টেলিভিশন লুটে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এর ছবিসহ চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে। ঘটনায় চনপাড়া এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে চনপাড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে। আসামিরা পলাতক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০১:২৩ ৪৮৩ বার পঠিত