নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক,
সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে
উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। বাংলাদেশ আশা করছে, উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবার পরও
জাপান বাংলাদেশকে দেয়া জিএসপি সুবিধা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত
রাখবে। বিগত ২০১৬ সালে ঢাকায় হোটেল হলি আর্টিজেনে অপ্রত্যাশিত ঘটনায় ৭
জাপানী নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ
সরকার যে কোনো সন্ত্রাসী ঘটনায় জিরো টলারেন্স নীতি পালন করে চলছে। বাংলাদেশের
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে ঐ ঘটনার তদন্ত করে বিচারিক আদালতে
অপরাধীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। ঐ ঘটনার পর সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা
গ্রহণের ফলে এ জাতীয় আর কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি। বর্তমানে
বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। এখন জাপানী নাগরিকদের বাংলাদেশ
ভ্রমণের ওপর থেকে জাপান সরকারের লেভেল-২ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে বাংলাদেশ খুশি
হবে।
জাপান সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী আজ টোকিওতে জাপানের অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প
মন্ত্রী হিরোশিগে সেকো এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় এসব
কথা বলেন।
জাপানী মন্ত্রী হিরোশিগে সেকো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক,
সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়নে জাপান খুশি। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে
উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবার পরও জাপান বাংলাদেশকে দেয়া বাণিজ্যি ক্ষেত্রে জিএসপি
সুবিধা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার বিষয়ে
ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে জানা গেছে, বাংলাদেশে এখন কোনো নিরাপত্তা
ঝুঁকি নেই। জাপানী নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ওপর থেকে বিদ্যমান লেভেল-২ ভ্রমণ
নিষেধাজ্ঞা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ মুহুর্তে জাপানের ৩১২টি কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা
করছে, এখানে প্রায় ৪২ হাজার জনবল কাজ করছে। জাপানের বিনিয়োগ প্রায় ১ হাজার
৪৬৭ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এরমধ্যে ২০১৭ সালে ডাইরেক্ট ফরেন ইনভেস্টমেন্ট
হয়েছে ৭০ দশমিক ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জাপানী উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের
তৈরিপোশাক খাতে ফ্যাশন ডিজাইন উন্নয়ন, উন্নতমানের পোশাক তৈরি এপিআই
এবং লেদার পণ্য তৈরিখাতে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে পারে।
মন্ত্রীর সঙ্গে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতেমা,
এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমই’র
প্রেসিডেন্ট মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, এলএফএমইএবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ
নাজমূল হাসান, বিজিএমই’র পরিচালক মুনির হোসেন, ফারমার্স ব্যাংকের
চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাত এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ
ওবায়দুল আযমসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্সিয়াল এন্ড ইকোনমিক
কো-অপারেশন এর উদ্যোগে বিজনেসম্যান টু বিজনেসম্যান বৈঠকে মতবিনিময় করেন।
এরপর তিনি জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো)-এর প্রেসিডেন্ট
ইয়াশুশি আকাহোশির সাথে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩১:৫৮ ২১৬ বার পঠিত