বিসিবির নির্বাচনী মাঠ একাই গরম রেখেছিলেন দুর্জয়

প্রথম পাতা » খেলাধুলা » বিসিবির নির্বাচনী মাঠ একাই গরম রেখেছিলেন দুর্জয়
বুধবার, ১ নভেম্বর ২০১৭



---মঙ্গলবার বিসিবি চত্বর পুরো গরম করে রেখেছিলেন কয়েক হাজার দুর্জয় সমর্থক। বিকাল চারটার দিকে যখন খবর এলো, ১৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিসিবির পরিচালক হয়েছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়, তখন স্লোগানে মুখরিত বিসিবি এলাকা। ভিতর থেকে দুর্জয় বেরিয়ে এলেন হাসিমাখা মুখ আর স্বস্তি নিয়ে। যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন! বিসিবির নির্বাচন তো, এ যেন জাতীয় নির্বাচন! এক তরফা বিসিবির নির্বাচর্নী মাঠ তো একাই গরম রেখেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক।

গত এক বছরে খুব বেশি ক্রিকেট বের্ডে দেখা যায়নি তাকে। কোচের কড়া সমালোচনা করে শুধু হাথুরুসিংহের নন, বিরাগভাজন হয়েছিলেন বিসিবি বসেরও। ফলে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। নাজমুল হাসান পাপন ও নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের সম্পর্ক ঠেকে গিয়ে তলানিতে। কেউ কারো মুখ দেখতেন ন। বিসিবির নির্বাচনে পাপনের প্যানেল থেকে প্রার্থী হবেন দুর্জয়, সেটা এক সময় ভাবাই যায়নি সঙ্গত কারণে। তবে, গত ৫/৬ মাস ধরে দু’জনের সম্পর্কের বরফ গলতে থাকে। এটা হয়তো একে অপরের প্রয়োজনে অথবা পরিস্থিতির কারণে। তবে, ভিতরে ভিতরে যে ঠিকই দূরত্ব রয়ে গেছে সেটা বিসিবি নির্বাচনে ভিতরে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এমনকি পাপনের প্যানেল থেকে দুর্জয়ের ঢাকা বিভাগের পরিচালক প্রার্থী হবার পরও! দুর্জয়ের ব্যাপারে নাকি আন্তরিক ছিলেন না, এটা মিরপুর ক্রিকেট পাড়ার জোর গুঞ্জন। মঙ্গলবার দুর্জয়ের হয়ে যারা গলা ফাটালেন তাদের অভিযোগও এমনটা।

আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৫ পরিচালকের মধ্যে ২২ জন নির্বাচিত হয়ে গেছেন। বাকি ছিলেন ৩ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে দুই জন এবং বরিশাল থেকে একজন। ঢাকা বিভাগে প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। পাপন প্যানেলের ছিলেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। সঙ্গত কারণে তার তো নাকে তেল দিয়ে বাসায় ঘুমানোর কথা। কারণ কাউন্সিলরদের ৯৫ শতাংশই পাপন প্যানেল পন্থী। দুর্জয়ের সেখানে পরিচালক হওয়া নিয়ে এক বিন্দু চিন্তা থাকার কথা ছিল না। তারপরও নির্বাচনের আগের দিন দুপুর পর্যন্তও দুর্জয় নিশ্চিত ছিলেন না যে, তিনি দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য বিসিবির পরিচালক হচ্ছেন। ভিতরে ভিতরে যে একটা ‘গেম’ হচ্ছে তা আঁচ করতে পেরেছিলেন। যে কারণে তিনি বারবার ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটে গেছেন। অলআউট প্রচারণা চালিয়ে গেছেন।

পাপনের প্যানেলের প্রার্থী হবার পরও কেউ কেউ চাননি যে, দুর্জয় জিতে আসুক। প্যানেলের প্রার্থী না হয়েও পাপনপন্থীদের জোর সমর্থন ছিল কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সৈয়দ আশফাকুল ইসলামের প্রতি। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চাচাত ভাই। অন্যদিকে, প্যানেলের প্রার্থী হয়েও ভিতরে ভিতরে একা হয়ে পড়ছিলেন দুর্জয়। জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার তানভীর টিটু। এ দুজনের কছে কি শেষমেশ হেরে যাবেন দুর্জয়? এমন একটা শঙ্কাও তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু সোমবার বিকাল নাগাদ পরিস্থিতি পাল্টে যায়। সরকারের উপর মহল থেকে নির্দেশ আসে, অবশ্যই দুর্জয়কে জেতাতে হবে। জেতাতে হবে সৈয়দ আশফাককেও। সরকারের উপর মহল থেকে এমন বার্তা আসার পরই দুর্জয়ের পরিচালক হওয়াটা নিশ্চিত হয়ে যায়। দুর্জয়ের হয়ে কাজ না করে উপায়ন্তর ছিল না পাপন প্যানেলের।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৫:৩৯   ৩৯১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

খেলাধুলা’র আরও খবর


ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় হার লিভারপুলের
ফিরলেন লিটন, নতুন মাইলফলক সাকিবের
জয় তুলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো বার্সা
উইন্ডিজদের বিপক্ষে মুকিদুলের চার উইকেট
একদিন আগেই দ. আফ্রিকাকে হারিয়েছে পাকিস্তান
আবাহনী-মোহামেডান লড়াই আজ
সাকিব-তামিম-মাশরাফি পাচ্ছেন সেরা করদাতার পুরস্কার
বড় জয়ে পরের রাউন্ডে টটেনহাম
ল্যাম্পার্ড: চেলসির নায়ক থেকে খল নায়ক
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

আর্কাইভ