শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক
মূল্যবোধ ও চিন্তা-চেতনা বিকাশে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং পারস্পরিক আদান-প্রদানের
মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহনশীল হতে শেখে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো
(ব্যানবেইস)-এর সম্মেলন কক্ষে স্টুডেন্টস কেবিনেট বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায়
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক ও উন্নত
বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা। তাদেরকে ভাল মানুষ করে গড়ে তোলা।
এজন্য শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক মানসিকতা, গণতন্ত্রের চর্চা এবং সৃজনশীল
কাজে উদ্যোগী হতে হবে। স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের
মধ্যে এসব বিষয়ে আস্থা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে। সমাজের উন্নয়নে কাজ
করার মানসিকতা গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ২২ হাজার ৬৪৪টি
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি
বিদ্যালয়ে ৮ জন নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে এ কেবিনেট গঠিত হয়।
ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব
হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রওনক মাহমুদ,
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মোঃ মাহাবুবুর রহমান
এবং নির্বাচিত স্টুডেন্টস কেবিনেট সদস্যদের প্রতিনিধি পুনম প্রিয়ম
নায়না।
কর্মশালায় ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসায় স্টুডেন্টস কেবিনেট’
শীর্ষক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা পেশ করেন ব্যানবেইসের ডিএলপি বিভাগের
প্রধান ড. এ কিউ এম শফিউল আজম। কর্মশালায় স্টুডেন্টস কেবিনেট
নির্বাচন বিষয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, স্টুডেন্টস কেবিনেট ম্যানুয়াল
চূড়ান্তকরণ এবং স্টুডেন্টস কেবিনেটের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন বিষয়ে
বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৮:৪১ ৫৮৮ বার পঠিত