স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন
বলেছেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। প্রাকৃতিক
দুর্যোগের কারণে উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। যেকোন প্রাকৃতিক ও
মানবিক বিপর্যয়ে জনপ্রতিনিধিদেরকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
আজ রাজধানীর ইস্কাটনস্থ রেডক্রিসেন্ট বোরাক টাওয়ারে বাংলাদেশ
রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে দেশের ৬৪ জন জেলা পরিষদ ও জেলা
রেডক্রিসেন্ট ইউনিট চেয়ারম্যান এবং ৪ জন সিটি কর্পোরেশন মেয়র ও সিটি
ইউনিটের চেয়ারম্যানদেরকে রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট আন্দোলন সম্পর্কে
অবহিতকরণের লক্ষ্যে দিনব্যাপী ‘ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদারের
সভাপতিত্বে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ট্রেজারার এডভোকেট
তৌহিদুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অভ দ্য রেডক্রস (আইসিআরসি)এর
বাংলাদেশস্থ প্রধান ইখতিয়ার আহসানুর, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অভ রেডক্রস ও
রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফআরসি)এর বাংলাদেশস্থ প্রধান সুরেন্দ্র কুমার
রেজমি এবং বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ
সালাহ উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউনিট চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে
বলেন, সাংবিধানিকভাবে এ সোসাইটির ইউনিটসমূহের চেয়ারম্যানের
দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় রেডক্রিসেন্টের প্রতি দায়বদ্ধতা বেড়ে গেছে। সিটি
কর্পোরেশন ও জেলা পরিষদের উন্নয়ন বাজেট প্রণয়নের সময় আওতাধীন এলাকায়
রেডক্রিসেন্টের সংশ্লিষ্ট ইউনিটের অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পর্কেও আন্তরিক
থাকতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই দুর্যোগ প্রস্তুতি ও
ঝুঁকিহ্রাসে সরকার ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির অধীনে
“ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই
কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষিত ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক বিগত ৪৭ বছর ধরে
উপকূলবর্তী ১৩ টি জেলার ৪৩ টি উপজেলায় প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন রক্ষায়
কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০:৪৫:০৫ ৩২৪ বার পঠিত