নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন,
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে শিশুদের
ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহারে সরকারের সক্ষমতা রয়েছে। এখন প্রয়োজন
সমাজের সকল স্তরের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন।
প্রতিমন্ত্রী আজ টাঙ্গাইলে ব্যুরো রেস্ট হাউস সম্মেলনকক্ষে শ্রম ও
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম নিরসন এবং
গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান
অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভাগীয় শহরগুলোতে এক লাখ শিশুকে
চিহ্নিত করা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের আওতায় এসকল
শিশুকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করা হবে।
গৃহকর্মীদের অধিকারের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গৃহকর্মীরা দাস নয়।
বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী আট ঘণ্টা কাজ করা তার অধিকার। তিনি বলেন,
আর কাউকে গৃহকর্মীদের সাথে দাসের মতো আচরণ করতে দেবে না সরকার।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শ্রম সচিব আফরোজা খান বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে তিন বছর মেয়াদি প্রায় তিনশ কোটি টাকার
প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত
শিশুদের কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের বাবা-মাকে আর্থিক সহায়তা
দেয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নেসার আহমেদ জুয়েলের সভাপতিত্বে কলকারখানা
ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ শামসুজ্জামান ভুঁইয়া,
অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
রেজাউর রহমান বক্তৃতা করেন। কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য
ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
কর্মশালায় জানানো হয়, জেলার বারটি উপজেলাতে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম
নিরসন বিষয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী
অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসমূহের
প্রতিনিধি ও বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে আইনের যথাযথ বাস্তবাযনের তাগিদ দেন এবং
গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণার ওপর গুরুত্ব দেন। কর্মশালার বিষয়ে
অংশগ্রহণকারীদের নিকট থেকে সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।
পরে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে সতের
জন অসুস্থ , দুর্ঘটনায় নিহত, পঙ্গু শ্রমিক এবং নারী শ্রমিকের
মাতৃত্বকালীন সহায়তা হিসেবে ছয় লাখ টাকার চেক প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৯:১১ ২৯৫ বার পঠিত