সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র
ছিল বরেণ্য কবি-সাহিত্যিকদের মিলনকেন্দ্র। নানা আলোচনা সভা ও অনুষ্ঠান
আয়োজনের মাধ্যমে এটিকে পুনরায় কবি-সাহিত্যিকদের মিলনকেন্দ্রে পরিণত
করতে হবে। বিভিন্ন জাতীয় দিবস যথা স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহিদ
দিবস, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং গ্রন্থ সংক্রান্ত বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ
দিবসে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র এ জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভার
আয়োজন করতে পারে।
মন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় জাতীয় শোকদিবস ২০১৮ উপলক্ষে রাজধানীর গুলিস্তানে
অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে ‘উন্নয়নের বিস্ময় : ‘বঙ্গবন্ধুর
বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, শাহবাগে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জন্য পরিকল্পিত
আধুনিক সম্প্রসারিত ভবনে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের জন্য দুইটি ফ্লোর বরাদ্দ রাখা
হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সরকার সারাদেশে সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে নানামুখী
উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
চট্টগ্রামে আধুনিক মুসলিম ইনস্টিটিউট কমপ্লেক্স, ঢাকার হাতিরঝিলে ঢাকা
সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স, উত্তরা ও মিরপুরে শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মাণ, ৬৪
জেলায় শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মাণ, পর্যায়ক্রমে সকল উপজেলায় শিল্পকলা
একাডেমি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, পরাধীন থাকলে
আমাদের এ উন্নয়ন সম্ভব হতো না। এটি কেবল সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর
নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কারণেই।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক এ কে এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ।
সেমিনারে প্রবন্ধকার হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক
ইত্তেফাক এর সম্পাদকীয় বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কবি মিনার মনসুর।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মসিউর রহমান। আরো আলোচনা করেন জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল
প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। আরো উপস্থিত ছিলেন গণগ্রন্থাগার
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৭:৩৮ ৪২৯ বার পঠিত