গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাবেক প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ হত্যাকাণ্ড মামলার আসামি মো. সাজু মিয়াকে (৪০) গ্রেফতার করেছে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার সকালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সাজু সুন্দরগঞ্জের উত্তর রাজীবপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে নয়া মিয়ার ছেলে।
পিবিআই সূত্র জানায়, ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন গত বছরের ৩ নভেম্বর অফিসের কাজ সেরে দুপুর ১২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে রংপুরগামী বাসে ওঠেন।
তাকে অনুসরণ করে ওই বাসে ওঠে দুর্বৃত্তরা। বাসের মধ্যে তাকে অজ্ঞান করে প্যান্টের ডান পাশের পকেটে রাখা প্রায় ৪০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায় ওই দুর্বৃত্তরা।
বাসটি মিঠাপুকুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে নেমে যায় দুর্বৃত্তরা। বাসটি রংপুর বাস টার্মিনালে পৌঁছালে বাসের লোকজন রিয়াজ উদ্দিনকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত ১০টার দিকে মারা যান রিয়াজ উদ্দিন।
এ ঘটনায় রংপুর কোতোয়ালি থানায় প্রথমে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পরবর্তীতে ৫ নভেম্বর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলাটি থানা পুলিশ প্রথমে তদন্ত করলেও পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে রংপুরের পিবিআই।
রংপুর পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, প্রাথমিকভাবে মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে রংপুর পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আবু হাসান কবিরের নেতৃত্বে টিম গঠন করা হয়। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনসহ আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। মূল আসামি গ্রেফতার হওয়ায় এ ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও জিনের বাদশা সেজে বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে। তারা বিভিন্ন মানুষকে নকল স্বর্ণ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ মামলার আরও দুই আসামি জেলহাজতে আছে। এদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৪:১৭ ২৮১ বার পঠিত