এবারের ঈদে চ্যানেল আইয়ে প্রচার হবে বিশেষ টেলিফিল্ম ‘আমি বিবাহ করিব না’। এটি প্রচার হবে ঈদের তৃতীয় দিন বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে।
টেলিফিল্মটি রচনা করেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু। পরিচালনায় আছেন জাকিউল ইসলাম রিপন। অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, পিয়া বিপাশা, মনিরা মিঠু ও আরো অনেকে।
গল্পে দেখা যায়, করিম সাহেব গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক গৃহস্থ। তার তিন মেয়ে। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বড়জনের প্রথম জামাই ৩৫ বছর বয়সে মারা যায়। এখন দ্বিতীয় জামাইয়ের সাথে সুখে শান্তিতে সংসার করছে। নাটকের শুরুতে দেখা যায়, করিম সাহেবের বাড়িতে কান্নার রোল পড়েছে। কারণ তার মেজ মেয়ের জামাই মারা গেছে। অদ্ভুত হলেও সত্যি, তার বয়সও ৩৫ চলছিল।
গ্রামে রটনা আছে যে, তার মেয়েদের বেলায় প্রথম স্বামী ৩৫ বছরের মধ্যে মারা যায়। এজন্য তার ছোট মেয়ে আশা সুন্দরী হওয়া সত্ত্বেও তার বিয়ের জন্য ছেলে পাওয়া যাচ্ছে না। করিম সাহেব পড়ে যান দুশ্চিন্তায়। তার বাড়িতে জায়গীর থাকে তরুণ লজিং মাস্টার রেজা। রেজা আশাকে পড়াতে গিয়ে একদিন মজা করে বলে, লীলাবতীর গল্প। ভারতীয় গণিতজ্ঞ শংকরাচার্যের মেয়ে লীলাবতীর কপালে বৈধব্যযোগ ছিল বলে বিয়ে ভেঙে যেত। তাই শংকরাচার্য মেয়ের দুঃখ কমানোর জন্য তার গণিতের বইয়ের নাম দেন লীলাবতী।
এই গল্প বলে রেজা আশাকে বলে, তোমার বাবার তো গণিতের বই লেখার এলেম নাই, তার আছে গোয়াল ভরা গরু। গরুর প্রিয় খাবার বিষয়ক কোন বই লিখতে বলো তাকে। নাম দেওয়া হবে তোমার নামে। আশা একথা শুনে মনে মনে খুব রেগে যায়। ফন্দি আটে কিভাবে রেজাকে উচিত শিক্ষা দেওয়া যায়! রেজার তিন কূলে কেউ নেই। আবার ছেলেটাও ভালো। তাই আশার চক্রান্তে সুযোগ বুঝে করিম সাহেব ঠিক করেন আশার সাথে রেজার বিয়ে দেবেন। তাছাড়া ঘটকও বলেছে, দ্বিতীয় জামাই খুঁজতে সমস্যা হবে না। কিন্তু প্রথম জামাই আশপাশের দশ গ্রামে খুঁজে পাওয়া যাবে না। রেজা পড়ে গ্যাঁড়াকলে।
এমনই রোমান্টিক কমেডির আবহে গল্প এগিয়ে যেতে থাকে এক অনিবার্য পরিণতির দিকে। গ্রামীণ কিছু কুসংস্কার যে আমাদের মানবিক বোধগুলোকে প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত করে, জীবনকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে তার স্বরূপ একদিকে যেমন দেখতে পাই তেমনি এই কুসংস্কারের বলয় থেকে বেরিয়ে মানুষ যে তার ভুল শুধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, তাই মজার দ্বন্দ্ব ও পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এ টেলিফিল্মে দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৬:৪৩ ২৮১ বার পঠিত