জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের বৈঠক ব-দ্বীপ পরিকল্পনা অনুমোদন

প্রথম পাতা » অর্থনীতি » জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের বৈঠক ব-দ্বীপ পরিকল্পনা অনুমোদন
মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮



পরিকল্পিত অর্থনীতির সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। বেড়েছে মোট দেশজ উৎপাদন
(জিডিপি) ও মাথাপিছু আয়। মূল্যস্ফীতি রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে সামাজিক
খাতেও অগ্রগতি রয়েছে ব্যাপক। কিন্তু এত সব অর্জন টেকসই হবে কিনা তা নিয়ে
প্রশ্নও রয়েছে। এর পেছনে অন্যতম মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাব।
জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাবকে মোকাবিলা করে দেশকে কিভাবে উন্নয়নের সঠিক
পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে দেশের
ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত পরিকল্পনা’ ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা’ বা ‘ডেল্টা প্ল্যান’।
আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনাকালে
এসব তথ্য জানান পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য সিনিয়র
সচিব ড. শামসুল আলম। বৈঠকে এই মহাপরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও
এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে কাক্সিক্ষত
উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়নের
সিদ্ধান্ত নেয়। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং পানি, জলবায়ু, পরিবেশ ও
ভূমির টেকসই ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলাসহ ২০৩০ সালের মধ্যে চরম
দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে ব-দ্বীপ
পরিকল্পনা বাংলাদেশের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করবে।
উন্নত দেশের পথে হাঁটতে হলে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে এক কথায় বলা
যায়, ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন অপরিহার্য। তাছাড়া
প্রকল্পটির মূল প্রতিপাদ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। তাছাড়া এরই
মধ্যে ভূমি ক্ষয় হচ্ছে ব্যাপক। নদী ভাঙনের ফলে প্রতিবছর ৫০ থেকে ৬০ হাজার পরিবার
গৃহহীন হচ্ছে। বন্যায় অনেক ফসলহানি হচ্ছে। এর বাইরেও বিশেষ করে শহর অঞ্চলে সুপেয়
পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, কঠিন বর্জ্য ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনা, কৃষি জমিতে ব্যাপক
রাসায়নিক সারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মতো চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি
উৎপাদন শক্তি না কমিয়ে কিভাবে এসব বিষয় যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা যেতে
পারে বাংলাদেশের
ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় এসব বিষয়ের প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্ট া করা হয়েছে। জাতীয়
অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ
ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে
গঠন করা হবে ডেল্টা তহবিল। এই তহবিলের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে বাংলাদেশ সরকার,
উন্নয়ন সহযোগী, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত তহবিল, বিশেষ করে গ্রিন
ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে (পিপিপি)

বিবেচনা করা হয়েছে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের জন্য ২০৩০ সাল নাগাদ
জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থায়ন সম্বলিত বাংলাদেশ ডেল্টা তহবিল
গঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এর মধ্যে ২ শতাংশ নতুন বিনিয়োগ এবং শূন্য দশমিক
৫ শতাংশ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ব্যয় করা হবে। জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশের
মধ্যে ৮০ শতাংশ সরকারি তহবিল হতে এবং ২০ শতাংশ বেসরকারি খাত হতে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:০০:৫০   ৩৪১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


শিল্প-কারখানায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে সরকার - শিল্পমন্ত্রী
সময়াবদ্ধ গৃহীত পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে - শিল্পমন্ত্রী
সাবরং ট্যুরিজম পার্কে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ হবে
বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় পাকিস্তান
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানির প্রবণতা কমে গেছে - অর্থমন্ত্রী
দেশে বর্তমানে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ঋণখেলাপি - অর্থমন্ত্রী
ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে কমিটি করা হয়েছে - বাণিজ্যমন্ত্রী
প্লাস্টিক পণ্যে সরকারি সহায়তা বাড়ানোর আশ্বাস বাণিজ্যমন্ত্রীর
কিশোরগঞ্জে মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া গেল ১৪ বস্তা টাকা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নিয়োগ দিচ্ছে

আর্কাইভ