সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি বৃহস্পতিবার

প্রথম পাতা » আইন আদালত » সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি বৃহস্পতিবার
বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২



সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি বৃহস্পতিবার

দেশের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে আবেদনটির শুনানির জন্য দুই নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। এর নয় মাসের মাথায় ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে ছিল।

সংবিধানে এই সংশোধনী হওয়ায় মৌল কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করবে; এমন যুক্তিতে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি দায়ের হয়। ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্টে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন। এরপর ২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৬ সালের ১১ আগস্টে দেওয়া রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ষোড়শ সংশোধনীর আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। আপিল শুনানিতে আদালতে মতামত উপস্থাপনকারী ১০ অ্যামিকাস কিউরির মধ্যে শুধু ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দেন। অপর ৯ অ্যামিকাস কিউরি ড. কামাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ ব্যারিস্টার এম. আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৭ সালের ৮ মে ২০১৭ সালের ৮ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে ১১ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরের মাসে (৩ জুলাই) তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন।

ওই বছরেরই ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০:৪৩:০৬   ৩৪৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আইন আদালত’র আরও খবর


একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি
দেশের ইতিহাসে বিচারকাজ প্রথম সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে
শেখ হাসিনাকে দিয়ে শুরু জুলাই গণহত্যার বিচার
এক যুগের আইনি লড়াইয়ের সফল অবসান: জামায়াত আইনজীবী
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পর চালক হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
দুর্নীতির মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল করলেন ডা. জুবাইদা
আইভীর জামিন নাকচ, ডিভিশনের আবেদন
রাজনৈতিক দলের বিচারের বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত: চিফ প্রসিকিউটর
আফতাবনগরে ডিএনসিসির পশুর হাটও বসানো যাবে না : হাইকোর্ট
চানাচুর দেয়ার কথা বলে শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ