২০৩০ সাল নাগাদ বিমান যাত্রী দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে : মাহবুব

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ২০৩০ সাল নাগাদ বিমান যাত্রী দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে : মাহবুব
মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩



২০৩০ সাল নাগাদ বিমান যাত্রী দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে : মাহবুব

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী আজ বলেছেন, সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ বিমান যাত্রী সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে বেসামরিক বিমানের পরিবহনের জন্য বেশ কয়েকটি নীতি প্রবর্তণ ও নিয়ন্ত্রণমূলক সংস্কার করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ২০৩০ সাল নাগাদ বিমান যাত্রী পরিবহন দ্বিগুণ করতে চাচ্ছি। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলটি বৃহত্তম বিমান পরিবহণ বাজারে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর একটি হোটেলে কোঅপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট অব অপারেশনাল সেফটি অ্যান্ড কন্টিনিউইং এয়ারওয়ার্র্দিনেস প্রোগ্রাম, সাউথ এশিয়া (সিওএসসিএপি-এসএ)’র ৩০তম স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশনে একথা বলেন।
তিন দিনের এই সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশ- ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান, আফগানিস্তান ও আয়োজক বাংলাদেশ এর বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)-এর উচ্চ পদস্থ আঞ্চলিক প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সমন্বিত ও টেকসই উন্নয়ন কর্মকা-ের ফলে বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে বিনিয়োগ এখন ব্যয় সাশ্রয়ী। তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী সময়মতো বেসামরিক বিমান অবকাঠামো সম্প্রসারণ, যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি, কারিগরি ও মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নিরাপদ ও নির্বিঘœ বিমান যাত্রা নিশ্চিতে কাজ চলছে। বাংলাদেশকে একটি প্রধান বিমান কেন্দ্র ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা বিশ্বের প্রধান গন্তব্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের বিমান রুটের একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে- যা বাংলাদেশে ও বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণের উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কারণেই বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধির এই সুযোগ এসেছে। তিনি জানান, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে জিডিপি’র প্রায় ০.০৮ শতাংশ এই বেসামরিক বিমান পরিবহণ খাত থেকে এসেছে। এই ধারা অব্যহত থাকলে, ২০৩৮ সাল নাগাদ বিমান পরিবহনে বাংলাদেশ আরো ১২.১ মিলিয়ন যাত্রী বহনে সক্ষম হবে। যার ফলে মোট যাত্রীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২২ মিলিয়নের বেশি।
মাহবুব বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিমান খাত থমকে গেলেও বর্তমানে বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান জিডিপি ও ব্যবস্থাপনা এ খাতের বিনিয়োগে উৎসাহ যোগাচ্ছে। মাহবুব বলেন, ‘সরকারের দূরদর্শী পদক্ষেপ ও আইসিএও’র দিকনির্দেশনায় আমরা এ্যাভিয়েশন কমিউনিটির বিভিন্ন ষ্টেকহোল্ডারদের আস্থা অর্জন করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, অগ্রগতি অর্জনের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতাই মুখ্য।’
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সিভিল এ্যাভিয়েশন অথোরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি)’ এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মাফিদুর রহমান ও আইসিএও’র আঞ্চলিক পরিচালক তাও মা স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৩:৫২   ২৬৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আল কোরআন ও আল হাদিস
প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেই আমরা জুলাই সনদ নিতে চাই : হাসনাত আব্দুল্লাহ
নির্বাচন বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে: খন্দকার মোশাররফ
আমজনতার দল অবশ্যই নিবন্ধন প্রাপ্য: রিজভী
ফতুল্লায় ৩ সাংবাদিককে মারধর, কৃষকদল নেতা কারাগারে
বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে উল্টা-পাল্টা করলে ছাড় দেব না: জামায়াত আমির
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কাল
হালদা নদীকে মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি
এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু
২০২৬ সালে মেঘনা-ধনাগোদা নদীতে সেতুনির্মাণ শুরু হবে : সেতু সচিব

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ