
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে যথাযথ মর্যাদায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুই মিশনের সম্মেলন রুমে পৃথকভাবে আলোচনা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া শহীদদের স্মৃতিচারণ করে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কমার্সিয়াল কাউন্সিলর অশিষ কুমার সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর শ্রম আব্দুস সালাম।
বিএম জামাল হোসেন দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ভিনদেশীয়রা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের চিনত না। এই হত্যাযোগ্য সম্ভব হয়েছে দেশের বিপদগামী কিছু মানুষের জন্য, যারা কখনো স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি।
তিনি আরও বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মূল কারণ হচ্ছে ১৯৪৭ সালে একটি অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং অবৈজ্ঞানিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশে। সেই রাষ্ট্রের নাম ছিল পাকিস্তান। দুর্ভাগ্যবশত সেই পাকিস্তানের একটি অংশে আমরা পরিণত হয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এবং ২৩ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে এবং মুক্তি লাভের প্রত্যাশায়। শত্রু পক্ষ পাকিস্তান বাহিনী যখন বুঝতে পেরেছে তাদের পরাজয় সন্নিকটে। তখন তারা এ পরিকল্পনা করে।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তানি বাহিনী যখন বুঝতে পেরেছিল বাংলাদেশ শক্তিশালি হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তারা নবগঠিত বাংলাদেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং শিক্ষাগত দিক থেকে দুর্বল ও পঙ্গু করে দেওয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পনার ফাঁদ পাতে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। পরিকল্পিতভাবে ১৪ ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবী হত্যা করায় এই দিনকে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
এসময় আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসী সাংবাদিক, কনস্যুলেট কর্মকর্তা, দুবাই, শারজাহ, আজমান, ফুজিরাহ, রাস আল-খাইমাহ থেকে আসা বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যক্তিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে এবং দেশের কল্যাণ ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩০:৫০ ১২০ বার পঠিত