রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্নীতির বিষয়ে রুশ দূতাবাসের বিবৃতি

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্নীতির বিষয়ে রুশ দূতাবাসের বিবৃতি
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪



রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্নীতির বিষয়ে রুশ দূতাবাসের বিবৃতি

রাশিয়ার আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে (আরএনপিপি) দুর্নীতি বিষয়ে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচার বন্ধে প্রকল্পের ব্যয় সংক্রান্ত এক বিবৃতি দিয়েছে ঢাকার রুশ দূতাবাস।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) অ্যামবাসি অব দ্যা রাশিয়ান ফেডারেশন অব বাংলাদেশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আরএনপিপি’র দুর্নীতি বিষয়ে প্রচারিত সংবাদ ও তথ্যসমূহকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘মিথ্যা’ উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই বিষয়ে আরও অযৌক্তিক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে রাশিয়ান রফতানি ক্রেডিট ব্যবহারের পদ্ধতি এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণে এরইমধ্যে ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে করি।’

এতে বলা হয়, আরএনপিপিতে যে কোনো দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে না তার প্রমাণ হল-রাশিয়ান ফেডারেশনের আইন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় রফতানি ঋণ প্রদানে সার্বভৌম ঋণ গ্রহিতার কাছে সরাসরি টাকা স্থানান্তর করা হয় না। রফতানি প্তানি চুক্তির অধীনে বিদেশি গ্রাহককে প্রদত্ত যে কোন পণ্য, কাজ বা পরিষেবাগুলোর অর্থায়ন রাশিয়ান রুবেলে রুশ অর্থ মন্ত্রণালয় রুশ রফতানিকারক সংস্থাকে সরাসরি দেয়।

রুশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রদত্ত নথি অনুযায়ী এ লেনদেনগুলো করা হয় এবং পূর্বে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর ওপর বিশেষায়িত বৈধ এজেন্ট ভিইবি-আরএফ (VEB.RF, Vnesheconombank) দ্বারা সেই নথিগুলো অনুমোদিত হয়। রাষ্ট্রীয় রফতানি ঋণের ব্যবহৃত পরিমাণ রুশ ফেডারেশনের প্রতি বিদেশি রাষ্ট্র ঋণ গ্রহিতার ঋণ হিসাবে বিবেচিত হয়।

বিবৃতিতে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এ প্রকল্পে আর্থিক লেনদেন ও ব্যয়ের তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়া কর্তৃক প্রদত্ত মোট ১ হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার পরিমাণের রাষ্ট্রীয় রফতানি ঋণ (স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট) থেকে মোট ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়েছে। দুটি পৃথক চুক্তির অধীনে সর্বমোট এই পরিমাণ ঋণ বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারিতে করা প্রথম চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৪৯ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলার (এই ঋণের মোট পরিমাণ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত) দেয়া হয়। এই ঋণ ব্যবহারের মেয়াদ ২০১৭ সালেই শেষ হয়ে যায়।

২০১৬ সালের ২৬ জুলাই থেকে দ্বিতীয় চুক্তির অধীনে রফরতানি ঋণের পূরো পরিমাণ হল ১ হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার। এ চুক্তির অধীনে এ পর্যন্ত ব্যবহৃত ৭৩৩ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। এ থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে এবং এই ঋণ ব্যবহারের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।

বিবৃতিতে রূপপুর এনপিপিতে ‘দুর্নীতি’ বিষয়ে প্রকাশিত খবরকে ইচ্ছাকৃতভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করার এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী সম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা বলে অভিযোগ করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ আগস্ট আরএনপিপি’র দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রোসাটম পরপর দু’টি বিবৃতি দেয়। কিন্তু এ সংক্রান্ত বিভিন্ন অসত্য তথ্য ও খবরের প্রচার দেখে রুশ দূতাবাস এ বিবৃতির মাধ্যমে পুনরায় তাদের অবস্থান পরিস্কার করছে বলে উল্লেখ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৭:৪৯   ১৯৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


চাকসু নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দিলেন পিসিসিপি
নতুন চিন্তা ও পরিকল্পনা নিয়েই এগোতে হবে যুবকদের: জেলা প্রশাসক
দরিদ্র দুই প্রমিলা ফুটবলারের পাশে দাড়ালেন ডিসি জাহিদুল
টাইফয়েড টিকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জনসচেতনতা অব্যাহত রাখতে হবে: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার
জাপানের ভাইস-মিনিস্টারের সঙ্গে সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়ার সাক্ষাৎ
হবিগঞ্জে ভোক্তা অধিকারের সেমিনার অনুষ্ঠিত
জামালপুরে কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছেন ৩৮ হাজার কৃষক
প্রশিক্ষণ নিলেন সরিষাবাড়ীর পাট চাষীরা
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত
ফিফা থেকে শান্তিতে পুরস্কার পাচ্ছেন ট্রাম্প!

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ