
আগামীকাল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং কারাবন্দিদের মুক্তিসহ ৬ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে বিডিআর মামলার শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ বেহেশতি। তিনি বলেন, আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একটি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন- পিলখানার ঘটনায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল সম্ভব নয়। আমরা তার এই কথার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। অবিলম্বে নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
এ সময় তারা আগামীকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন। আগামী ১১, ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা অবস্থান করবেন বলে জানান। এরমধ্যে সুখবর না আসলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলো হলো
১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
২. এরই মধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।
৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নং ধারা বাদ দিতে হবে। একই সঙ্গে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৪. পিলখানায় শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে কারাগারে মারা যাওয়া সব বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে। এবং
৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সব শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে শহীদদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০:০১:১০ ৩১ বার পঠিত