আলোচনায় ‘এমপি প্রার্থী’ ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » আলোচনায় ‘এমপি প্রার্থী’ ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান
মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫



আলোচনায় ‘এমপি প্রার্থী’ ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান

নারায়ণগঞ্জের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, ক্রীড়া সংগঠক মাসুদুজ্জামান মাসুদ। মডেল ডি ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান বিগত সময়ে ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে থাকলেও এবার রাজনীতির মাঠে আলোচিত হচ্ছেন তিনি। এক সময়ের যুবদল নেতা দীর্ঘদিন সরাসরি রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও নেপথ্যে দলের জন্য কাজ করেছেন। দুর্দিনে ছিলেন বিএনপির অন্যতম অর্থ যোগানদাতা। তার রাজনীতির মাঠে নামার ঘোষণায় ইতোমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনায় রাখছেন স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী রাজনীতিকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে রাজনৈতিক কোনো পদে না থাকলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশিত তিনি। বিএনপির হাই-কমান্ড থেকে গ্রিন সিগন্যাল রয়েছে বলে দাবি তার অনুসারীদের।

তার সমর্থকরা বলছেন, দীর্ঘদিন সমাজসেবায় নিজেকে নিবেদিত রেখে নারায়ণগঞ্জবাসীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন মো. মাসুদুজ্জামান মাসুদ। করোনাকালের দুর্যোগ থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি সংকটে নিরবচ্ছিন্নভাবে মানুষের পাশে থাকা এ দানবীর, ক্রীড়া সংগঠক ও শিল্প উদ্যোক্তা এখন রাজনীতির সম্ভাব্য নতুন মুখ। সরাসরি রাজনীতির মাঠে এখনও পা না রাখলেও জনসমর্থনের জোয়ার তাকে টেনে নিচ্ছে জনপ্রতিনিধিত্বের কেন্দ্রে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে শহরের দেয়ালজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে একটাই বার্তা- জনতার পাশে থাকা এ মানুষটিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় মানুষ।

তাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান জানিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাম্পেইনও শুরু করেছেন। নারায়ণগঞ্জের বিদ্যমান নাগরিক সমস্যার সমাধানে সম্প্রতি ‘আমার নারায়ণগঞ্জ’ নামে একটি নাগরিক প্ল্যাটফর্মও দাঁড় করিয়েছেন তিনি।

তার সমর্থকরা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল মাসুদুজ্জামানের। তিনি আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। অভ্যুত্থান-পরবর্তী দেশের বন্যা পরিস্থিতিতেও তিনি বন্যা-দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আন্দোলনে হতাহতদের আর্থিক সহযোগিতাও দিয়েছেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জবাসীর পক্ষে সবসময় দাঁড়ানো এ সমাজসেবীর বিগত কর্মকাণ্ডের ভূমিকা, অবদান এবং গ্রহণযোগ্যতার কারণে তাকে আগামীতে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চান বলে জানান তার সমর্থকরা। তিনি রাজনীতিতে এলে মানুষের উপকার হবে বলেই মনে করেন তার শুভাকাক্সক্ষীরা।

তবে, তার এই রাজনীতিতে আগমনের বিষয়টি ‘সহজে’ নিচ্ছেন না নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা। সরাসরি তাকে নিয়ে কথা না বললেও আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, মাসুদুজ্জামানের এ পথ সহজ হবে না। বিএনপির মনোনয়ন লড়াইয়ে তারাও হবেন প্রতিদ্বন্দী।

সম্প্রতি মাসুদুজ্জামানের রাজনীতিতে আসা ও মনোনয়ন প্রত্যাশার বিষয়টিকে সামনে এনে কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম এবং এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তবে, তাদের দু’জন এক বাক্যে একমত হয়েছেন যে, ‘দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করবেন’।

গত ৩১ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গলাচিপা এলাকায় জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আবুল কালাম বলেন, “আজকে যারা অর্থবিত্তে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তারা রাজনীতিতে আসতে চায়, এতে আপত্তি নেই। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং দলে অবদান রেখে রাজনীতিতে আসতে হবে। গত ১৬ বছর যাদের রাজনীতিতে দেখা যায়নি, তারা হঠাৎ করে মাঠে নেমে এমপি হতে চায়। তাদের পেছনে থাকা বিএনপির কিছু ত্যাগী নেতাও ভুল পথে সহযোগিতা করছেন— এসব থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

তবে তিনি বলেন, “ধানের শীষ যার হাতে থাকবে, আমরা সকলে তার পাশে থাকবো।”

পরদিন ১ জুন সদর থানা বিএনপির এক আলোচনা সভায় সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “খেয়াল করছি, অনেক বিএনপি দাঁড়ায় গেছে। তাদের কোনো পদ নাই। যাদেরকে কখনো পাশে দেখি নাই, দল করে নাই। যারা বিএনপি থেকে যোজন যোজন দূরে থেকেছে, সামনে আসে নাই। আজ তারা বিএনপির কথা বলে, নমিনেশন চায়। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে অনুষ্ঠান করতে চায়, অনুষ্ঠান করেন। কিন্তু নেতা তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগস্ট পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। ওই পর্যন্ত যারা পরীক্ষা দিয়েছে তারাই দলের কান্ডারি হবে, তারাই মেয়র, এমপি নির্বাচন করবে। তারাই বিএনপিকে নেতৃত্ব দিবে।”

তারা বিএনপিকে বিভক্ত করতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আপনাদের উদ্দেশ্য ভালো না। আপনারা সুসময়ে এসেছেন, মধু খাওয়ার জন্য। বিএনপির আপনাদের ভক্ত হবে না। আমাদের নেতা যাকে নমিনেশন দিবে আমরা তার পক্ষে ঝাপিয়ে পরবো।”

মহানগর বিএনপির শীর্ষ এই দুই নেতার মধ্যে আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য এবং সাখাওয়াত হোসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে ২০১৬ সালে ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে পরাজিত হন। পরে ২০১৮ সালেও এ আসনে এই দুই নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশিত ছিলেন। যদিও ওই সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জোট থেকে এ আসনটি ছেড়ে দেয় বিএনপি। ধানের শীষ নিয়ে ওই সংসদ নির্বাচনে এ আসনে প্রার্থী হন প্রয়াত সংসদ সদস্য এসএম আকরাম।

তবে, এবারও এই দুই নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাদের সামনে বড় বাধা হিসেবে আছেন আলোচিত ব্যবসায়ী মো. মাসুদুজ্জামান মাসুদ। সরাসরি ঘোষণা না দিলেও বিএনপিতে তার অবস্থান যে শক্ত তা নেতাদের আলোচনার মধ্য দিয়েই বোঝা যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৩:৩০   ২৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


জামালপুরে বিএনপি নেতাদের চালের কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা, ভিজিএফ বিতরণ স্থগিত
জামালপুরে রনজুর ‘মন্ডল হ্যাচারি’ বদলে দিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি
আজ পবিত্র হজ
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন ভেটো নিয়ে যা বললো হামাস
ডিসিপ্লিন মেনে চললে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যানজট উভয়ই নিয়ন্ত্রণে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস
পশুর হাটে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে বেচাকেনা, দামও সহনীয় পর্যায়ে
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে খুলনায় মানববন্ধন-বৃক্ষরোপণ
বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে : নাহিদ ইসলাম
ছাদে কোনো যাত্রী উঠবে না, জানালা দিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ : রেল উপদেষ্টা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ